বৈঠকে হকার সংগঠনের তরফে দোকানের মালপত্র সরিয়ে নতুন হকার্স কর্নারে নিয়ে যাওয়ার জন্য দু’মাস সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা পুরসভা তরফে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নতুন হকার্স কর্নারে হকারেরা চলে আসবেন। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নতুন হকার্স কর্নার দেখে দোকানদারদের পছন্দ হলেও, অতিরিক্ত দরজা তৈরি করার দাবি জানানো হয়েছে।
ফলে কলকাতা পুরসভার তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, দু’টি দোকান ভেঙে দেওয়া হলে প্রশস্ত দরজা বানানো সম্ভব। তবে কোন হকার বিল্ডিংয়ের কোথায় দোকান পাবেন, সেটা হকার সংগঠনকেই ঠিক করে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে পুরসভা কোনও দায়িত্ব নেবে না। পুরসভা সূত্রে খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্তগুলি মোটামুটি ভাবে মেনে নিয়েছেন দোকানদারেরা।
অন্য দিকে, যতীন দাস পার্ক থেকে হকারেরা নতুন হকার্স কর্নারে উঠে গেলেই সেখানে দোকানগুলি ভাঙার কাজ শুরু করবে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার অধীনে থাকা যতীন দাস পার্কটি আবারও পুরনো চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, যতীন দাস পার্কে অস্থায়ী দোকানগুলি তৈরি হওয়ায় কলকাতা পৌরসভার কর্মচারীদের শারদোৎসব সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পিছনের একটি মাঠে। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর পুজোর আগেই যতীন দাস পার্ক পুরনো চেহারায় ফিরলে শারদোৎসব ফিরে আসবে সেখানেই।