আজ সোমবার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী পুলক রায়ের আমলে ইতিমধ্যে ৯৪ লক্ষ পানীয় জলের কানেকশন হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন ধরেই সরকারি জলের পাইপলাইন কেটে অবৈধ কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিছু কিছু এলাকায় পাইপলাইন থাকলেও পানীয় জল পৌঁছায়নি। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নাগরিক পরিষেবায় জোর দিতে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখছেন তিনি। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পর একে একে অন্যান্য একাধিক দপ্তরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে শুরু করবেন মমতা। এই কারণে চাপে সব দপ্তরের মন্ত্রীরা।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে সজাগ থাকতে চাইছেন মমতা। ইতিমধ্যেই তিনি বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন। একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, যে সব দপ্তরের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে সেই দপ্তরগুলির কাজ নিয়ে বেশি চিন্তিত মমতা। এই দপ্তরগুলির শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে কাজের পর্যালোচনা করছেন তিনি।
এই সকল দপ্তরগুলির তালিকায় রয়েছে পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর, পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর, কৃষি দপ্তর, সেচ ও জলসম্পদ দপ্তর, পরিবহণ দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর ইত্যাদি। এই দপ্তরগুলির সঙ্গে সরাসরি সাধারণ মানুষের যোগাযোগ রয়েছে। তিনি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া সহ একাধিক দপ্তরের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। প্রতি সোমবারই বৈঠক হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বৈঠকে রাখা হচ্ছে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদেরও।
সোমবারের বৈঠকে প্রতি সপ্তাহের কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কয়েক মাস আগে পরিবহণ দপ্তরের দুই মন্ত্রী ও শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে নবান্নে পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহণ দপ্তরের কাজ পর্যালোচনা করে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছিলেন মমতা। আরজি করের ঘটনার পর স্বাস্থ্য দপ্তরের উপর বিশেষ নজর দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করছেন মমতা। এরপর বাকি দপ্তরগুলির কাজকর্মও তিনি একে একে খতিয়ে দেখতে শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই কারণে তটস্থ বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী থেকে শুরু করে আধিকারিকরা।