• বাংলাদেশে অশান্তির আবহে কলকাতায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী! কী বললেন?
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: এবারই প্রথম। রেসকোর্সে ভারতীয় সেনার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও বাংলার ভূমিকা কখনই ভুলতে পারি না। যাঁরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন, তাঁদের কখনই ভুলতে পারব না। যদিও বর্তমান পরিস্থিতি কী আমি জানি না।  এই বিষয়ে কিছু বলাটা আমার পক্ষে ঠিক হবে না। বিষয়টা ভারত সরকার ও ভারতীয় সেনার হাতে'।

    ঘটনাটি ঠিক কী? ৫৩ বছর পার। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শামিল হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীও। দিনটা ছিল ১৬ ডিসেম্বর। সেবছরই দিল্লিতে ভারতীয় সেনার কাছে আত্মসমপর্ণ করেছিল পাক-বাহিনী।  প্রতিবছরই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ফোর্ট উইলিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠান হয় ইন্টার্ন কমান্ডের। ব্যতিক্রম ঘটল না এবছরও।

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ভারতীয় সেনা নিয়ে আমরা সবসময় গর্ব অনুভব করি। তাঁরা সবসময়ই সাহসিকতা সঙ্গে কাজ করে। শারীরিক শক্তি ও মানসিক শক্তি দিয়েও কাজ করে। আমার মনে আছে, দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিলাম। আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। রোজই ভারত-চিন যুদ্ধের গল্প শোনাতেন। সেনাবাহিনীর কথা বলতেন। ১৯৬৫ সাল, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, আমাদের সেনার কীভাবে আত্মত্যাগ করেছিলেন। একইভাবে ১৯৭১ সাল, বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে আবার পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ। আমার মনে আছে, নেহেরুজী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। লতাজিকে বলেছিলেন, আপনা একটা গান গান। যে গানে আমরা আমাদের সেনাদের শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে পারি। লতাজির সেই বিখ্যাত, সবাই জানে। তিনি আর নেই। কিন্তু গানটি জীবন্ত থেকে গিয়েছে'।

    কলকাতায় বিজয় দিবসে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। সঙ্গে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাও। সেনা সূত্রের খবর, প্রতিবছর বিজয় দিবসে অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, কিন্তু সাধারণত আসেননি তিনি। তবে বাংলাদেশে অশান্তির আবহে এবার যোগ দিলেন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)