• ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসে লাগাম? স্বাস্থ্যসাথীতে কড়া রাজ্য!
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো:  নজরে স্বাস্থ্যসাথী। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্‍সা করলে এবার সরকারি চিকিত্‍সকদের হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য ভবন। নির্দেশিকায় উল্লেখ, 'নন-প্র্যাকটিসিং অ্য়ালাউন্স নিচ্ছেন না'। এই মর্মে হলফনামা দিতে হবে সরকারি চিকিত্‍সকদের। কোনও বিচ্যুতি হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, এক চিকিত্‍সক কতগুলি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত, তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার কথাও ভাবছে রাজ্য় সরকার। সূত্রের খবর তেমনই।

    স্বাস্থ্য়সাথী প্রকল্পে 'অনিয়ম'।  বিধানসভায় স্বাস্থ্যসাথীর টাকার অপব্য়বহারের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'ডাবল চেক করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথীর টাকার অপব্যবহার ধরা পড়েছে'। সঙ্গে চিকিত্‍সকদের একাংশকে কড়া বার্তা, 'আপনি কাজও করবে না, টাকাও ঘুরিয়ে নেবেন। ডিপার্টমেন্ট তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে'। এরপরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে একগুচ্ছ নিয়মের বেড়াজালে বেঁধে ফেলে রাজ্য সরকার।

    স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নয়া নিয়ম


    ---


    হাসপাতালে ভর্তি পর রোগীর ভিডিয়ো তুলে পাঠাতে হবে স্বাস্থ্যভবনে


    স্বাস্থ্যভবনে রোগীর ভিডিয়ো পাঠাতে হবে অস্ত্রোপচারের আগে ও পরেও


    চিকিৎসার প্রতিটি ধাপে রোগী সত্যিই হাসপাতালে আছেন কিনা, নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট সার্ভারে পাঠাতে হবে রোগীর জিপিএস লোকেশন


    ছবি, ভিডিও, জিপিএস লোকেশন একবার পাঠানো হয়ে গেলে তা এডিট করা যাবে না।


    একই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ডায়ালিসিস, কেমোথেরাপি ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রেও


    অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জিপিএস অন করে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হওয়া মাত্র, নির্দিষ্ট অ্যাপ চালু করতে হবে। পরীক্ষা শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে জিপিএস অন করে অ্যাপ বন্ধ করতে হবে।


    যে অ্যাপের মাধ্যমে এই তথ্য পাঠাতে হবে, তা হাসপাতালের ৫০ মিটার ব্যাসার্ধের বাইরে কাজ করবে না

    এর আগে, চলতি বছরের গোড়ায় বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিত্‍সার ক্ষেত্রে নিয়ম বদল করে রাজ্য। নতুন নিয়ম এখন দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে আনতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে। এরপর সরকারি হাসপাতালে চিকিত্‍সা সংক্রান্ত নথি জমা দিলে তবেই মেলে পরিষেবা।

    কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত যোজনার ধাঁচে এ রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছরে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুযোগ মেলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে হয়রানি অভিযোগ উঠেছে বারবার। এমনকী, রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)