দলীয় আদর্শ ব্যাখ্যা করে সমাজমাধ্যমে রাজ্যের শাসকদলের তরফে লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা শান্তি, একতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি বরাবরের মতো এখনও দায়বদ্ধ’। তার পরেই খানিক হুঁশিয়ারির সুরেই লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক গঠন বিপদের মুখে পড়ে এমন কোনও মন্তব্যের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’
সম্প্রতি একটি সংগঠনের ডাকে শিক্ষা সম্মেলনে যোগ দিয়ে সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু নিয়ে একটি মন্তব্য করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ। তাঁর ওই মন্তব্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়ে যায়। সরব হয় বিজেপি। আবার বাম-কংগ্রেস ফিরহাদের মন্তব্যে বিভাজনে ইন্ধন এবং বিজেপিকে মেরুকরণের রাজনীতি করার উপাদান জোগানো হয়েছে বলে সরব হয়। তৃণমূলের অন্দরেও এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
বিতর্কের মুখে পড়ে ফিরহাদ অবশ্য রবিবার বলেছিলেন, “আমি এক জন ভারতীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ। আমি মৃত্যুর দিন পর্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষই থাকব।” তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, ফিরহাদের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সূত্রটির তরফে দাবি করা হয়, নিজের অসন্তোষের কথা ফিরহাদকে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য ফিরহাদকে তাঁর ‘অবাঞ্ছিত’ মন্তব্যের জন্য সতর্কও নাকি করা হয়। এ বার প্রকাশ্যেই কলকাতার মেয়রের করা বিতর্কিত মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দিল তৃণমূল।