সংবাদদাতা, বহরমপুর: আজ সোমবার গ্রামে গ্রামে পালিত হচ্ছে ইতু উৎসব। অগ্রহায়ন মাসের সংক্রান্তির দিন ব্রত উদযাপন করে ইতু পুজোর মাধ্যমে লক্ষ্মীর আরাধনা শুরু করেন মহিলারা। ইতু পুজো উপলক্ষ্যে বাড়িতে বাড়িতে নবান্ন উৎসব যুগযুগ ধরে চলে আসছে। ইতু নবান্নের কারণে হঠাৎ সব্জির দাম লাফিয়ে বেড়েছে। রবিবার বাজারে সব সব্জির দামই একলাফে অনেকটাই বাড়ল। সব্জি বিত্রেতাদের দাবি, প্রতিটি পরিবারে একইদিনে ইতু পুজো উপলক্ষ্যে নবান্ন হয়। সব্জির চাহিদা বাড়ায় প্রতিবছর এই দিনে দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়।
অগ্রহায়ন মাসব্যাপি চাষিরা গোলায় তুলছেন নতুন ধান। ইতু পুজোর পর দিন থেকেই শুরু হয় পৌষ মাস। গ্রাম বাংলার প্রতিটি বাড়িতে পৌষ মাস জুড়ে লক্ষ্মীর আরাধনা ও পাঁচালি পাঠ হয়। লক্ষ্মীর আরাধনা শুরু হয় অগ্রহায়নের সংক্রান্তির দিন ইতু পুজো দিয়ে। কলাপাতায় বাস্তুদেবকে দেওয়া হয় নতুন অন্ন, পরমান্ন। মুর্শিদাবাদের গ্রামে গ্রামে ইতু নবান্ন হিসেবেই পরিচিত।
সব্জির উৎপাদন বাড়ায় দামও মধ্যবিত্তদের আয়ত্বের মধ্যে চলে এসেছিল। ইতু নবান্নে ফের বাড়ল সব্জির দাম। বেগুন ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে নেমে এসেছিল। রবিবার ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে বিকিয়েছে। প্রমাণ সাইজের ফুলকপি ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হল। বাঁধাকপি ৩৫-৪০, টমাটো ৪৫ টাকা, পালং শাক ৪০ টাকা, আলু ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে রবিবার। বহরমপুর স্বর্ণময়ী সব্জি বিক্রেতা বিমান হালদার বলেন, সব্জির দাম চাহিদা অনুপাতে বেড়েছে। তবে এই দাম স্থির থাকবে না। ইতু উৎসব পার হলেই আগের দামে ফিরে আসবে। সারগাছি এলাকার ইদ্রিশ সরকার নিজের জমির ফুল ও বাঁধাকপি বাজারে বিক্রি করছিলেন। ইদ্রিশ সাহেব বললেন, রবিবারের ফাটকা বাজারের দিকেই তাকিয়েছিলাম। প্রতি পিসে অন্তত দশ টাকা লাভ হয়েছে। ইতুর বাজার করতে এসেছিলেন সাঠিতড়ার বিনিময় সেন। বিনিময়বাবু বললেন, আজ সব সব্জির দামই বেশি। একই দিনে সবার প্রয়োজন। বিক্রেতারা সেই সুযোগ নিয়েছে।