• রাজ্য খাদ্য দপ্তর গোটা ভারতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে: চন্দ্রিমা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় উন্নত পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে পরিবর্তিত স্থান উত্তর দমদমে রেশনিং অফিসের শুভ উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সোমবারের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাছাড়াও ছিলেন খাদ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জোৎস্না মান্ডি, খাদ্য দপ্তরের প্রধান সচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকী, খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা সুমন ঘোষ, উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস সহ প্রমুখ।

    প্রশ্ন হলো, পরিবর্তিত স্থানে কেন রেশনিং অফিস নির্মাণ? চন্দ্রিমার ভাষায়, ‘আধিকারিকদের কাজ করার জন্য দরকার সুষ্ঠু পরিবেশ, এর সঙ্গে কোনো আপোষ নয়। আধিকারিকরা সততার সঙ্গে নিজ দায়িত্ব পালন করেন বলেই আমাদের কাজ সহজ হয়। তাই আধিকারিকদের স্বার্থরক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।’ এরপরই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিধানসভা কেন্দ্রে এটি হয়েছে, আরও যা যা দরকার রথীন ঘোষের সঙ্গে আলোচনা করে আমি তার বন্দোবস্ত করে দেব।’ নাম না করেই বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে চন্দ্রিমার বক্তব্য, ‘কে কী বলছেন তা শোনার দরকার নেই, আমার দৃঢ় বিশ্বাস বাংলার খাদ্য দপ্তর দেশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

    প্রসঙ্গত, সেলফ সার্ভিস নামক পোর্টালের মাধ্যমে বর্তমানে রেশন কার্ড সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ অনলাইনেই সম্পন্ন করার সুবিধা প্রদান করছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। তা সত্ত্বেও রেশন অফিসের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রথীন ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা অনলাইনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, তাঁদের জন্য রেশন অফিসের প্রয়োজনীয়তা আছে। অফিসে আধিকারিকদের মানসিক পরিস্থিতির উপর তাঁদের কার্যের মান নির্ভর করে এবং নির্দিষ্ট কাজের পরিবেশের উপর নির্ভর করে আধিকারিকদের মনোযোগ। বদ্ধ পরিবেশে থেকে নথিপত্রের ভুলত্রুটি সংশোধন করা সম্ভব নয়, সুস্থ কাজের পরিবেশ আধিকারিকদের মনোযোগ ধরে রাখার পাশাপাশি দক্ষতাও বৃদ্ধি করবে।’

    খাদ্য দপ্তরের যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপের খতিয়ান তুলে ধরে এদিন রথীন বলেন, ‘ই-পস মেশিনে কেবল আঙুলের ছাপ-ই নয়, চোখের মণি স্ক্যান করা অথবা ওটিপি-র ব্যবস্থাও রয়েছে। সুতরাং, মানুষ কোনোভাবেই নিজ অধিকার অর্থাৎ রেশন থেকে বঞ্চিত হবেন না। যদি রেশনের প্রয়োজনীয়তা না থাকে তাহলে নেবেন না, ফলে আমরা সুযোগ্য প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি।’

    রাজ্য খাদ্য দপ্তরের স্বচ্ছতার প্রসঙ্গ তুলে জোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘এটি এমন একটি বিশেষ দপ্তর, যার মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগ করা এবং মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা বোঝা সম্ভব। রাজ্য খাদ্য দপ্তরের স্বচ্ছতার ফলে আজ পাহাড় থেকে সমতলের প্রত্যেক মানুষের কাছে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’ সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভূয়সী প্রশংসা করে সচিব পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা শিখেছি কীভাবে মানুষকে স্বাবলম্বী করা যায়। দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, বাংলার খাদ্য দপ্তরের প্রতিটি কার্যাবলীর গুণমান দেশের সেরা। সে কারণেই আজ রেশন কার্ড তৈরি থেকে রেশন সামগ্রী পাওয়া কিংবা কার্ডের ভুল সংশোধন, কোনো ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হতে হয়না।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)