সংবাদদাতা, কান্দি: ভরতপুর-১ ব্লকে সরকারি প্রচার সত্ত্বেও সচেতনতার বালাই নেই। অবাধে ধানের নাড়া পোড়াচ্ছেন চাষিরা। এতে পরিবেশ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। এনিয়ে চিন্তিত পরিবেশপ্রেমীরা।
কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, এই এলাকায় ধান কাটার সময় থেকেই নাড়া পোড়ানো বন্ধে প্রচার শুরু হয়েছে। এমনকী, সোমবার থেকে এলাকায় ট্যাবলোর মাধ্যমে প্রচারও করা হচ্ছে।
কিন্তু ওই প্রচারে যে লাভ হয়নি, তা নাড়া পোড়ানোর ছবিতেই ধরা পড়ছে। সম্প্রতি ওই ব্লকের গড্ডা, ভরতপুর, সিজগ্রাম, আলুগ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে চাষিদের নাড়া পোড়াতে দেখা গিয়েছে। শনিবার ভরতপুর পঞ্চায়েতের করন্দি গ্রামের মাঠে বিঘার পর বিঘা ধানের জমিতে নাড়া পোড়াতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, সেখানে শিশুদের আগুন নিয়ে খেলতেও দেখা গিয়েছে। জমির উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার চলে গিয়েছে। আগুনের শিখা সেই তার অবধিও পৌঁছে যাচ্ছে। পাশেই খেলার মাঠ থেকে মাইকে শিশুদের আগুনের কাছে যেতে বারণ করা হচ্ছে।
ওই এলাকা থেকে ভরতপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রাজিয়া খাতুন ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি বলেন, অনেকে নাড়া পোড়াচ্ছেন ঠিকই। চাষিরা পরে যখন ফের চাষ করবেন, তখন ওই ছাই জমিতে মিশে যাবে। তবে শিশুদের আগুনের কাছে খেলা একেবারে ঠিক হবে না। নাড়া পোড়ানো বন্ধে সরকারিভাবে প্রচার চলছে জানেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছে পুরো তথ্য নেই। ব্লক কৃষি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ করব।
করন্দি গ্রামের চাষি আশাই শেখ বলেন, বহু বছর ধরেই আমরা জমিতে নাড়া পুড়িয়ে আসছি। সরকারিভাবে প্রচার হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সব চাষির কাছে এখনও বার্তা পৌঁছয়নি। রানিপুর গ্রামের চাষি আকাশ শেখ বলেন, নাড়া পোড়ানো ভালো নয় বলে কোনও প্রচার আমাদের গ্রামে করা হয়নি। তবে পাশের গ্রামে একটি পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তবে অনেকে সেগুলি পড়তে পারে না। স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নাড়া পোড়ানো বন্ধে সরকারি প্রচারে খামতি রয়েছে। বিশেষ করে যে সমস্ত গ্রামে প্রচার করা দরকার, সেখানে কৃষিদপ্তরের কর্মীরা পৌঁছান না। এতে জমির ক্ষতির পাশাপাশি পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। কৃষিদপ্তরকে এবিষয়ে কড়া হতে হবে। ভরতপুর-১ ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা আমজাদ হোসেন এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।