সংবাদদাতা, কাঁথি: রামনগর-২ ব্লকের দেপাল পঞ্চায়েতের শিখরবাড় এলাকায় নির্মীয়মাণ কালভার্ট ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে পরাজয়ের জ্বালা সইতে না পেরে বিজেপির লোকজন এই কাজ করেছে। যেহেতু তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে কাজ হচ্ছে, তাই তাদের আক্রোশ গিয়ে পড়েছে ওই কালভার্টের উপর। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিখরবাড় এলাকায় এই কালভার্টটি খুব প্রয়োজন ছিল। কালভার্টটি তৈরি হলে শিখরবাড়, দেপাল, আকুলবাড়, দয়ানিধিবাড় সহ কয়েকটি গ্রামের জলনিকাশি ব্যবস্থা এবং স্থানীয় লোকজনের যাতায়াতে সুবিধা হবে। এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আবেদনের ভিত্তিতে ব্লক প্রশাসন উদ্যোগী হয়। পঞ্চায়েত সমিতির তহবিল থেকে আড়াই লক্ষেরও বেশি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকায় পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে কাজ চলছিল। কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। দু’পাশে দেওয়াল তৈরির কাজ চলছিল। সেগুলিই মূলত ভেঙে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য অনুপ মাইতি বলেন, এলাকার কয়েকজন বিজেপি কর্মী বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার পথে কালভার্টটি ভাঙচুর করে। কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে রামনগর এলাকায় শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। পরাজয় মেনে নিতে না পেরে একাজ করেছে। আমরা এবিষয়ে ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি। পাশাপাশি থানায়ও অভিযোগ দায়ের করা হবে।
যদিও বিজেপির রামনগর-৩ মণ্ডলের সভাপতি সত্যেন পঞ্চাধ্যায়ী বলেন, এই ঘটনায় বিজেপির কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের লোকজনের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। আর তার দায় চাপাচ্ছে বিজেপির উপর। তাছাড়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে আমরা যথেষ্ট লড়াই দিয়েছি। ছাপ্পা ভোট না হলে বিজেপির ফলাফল আরও ভালো হতো। • নিজস্ব চিত্র