• যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়ানোয় নিত্য যানজট বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের দাবি চাপড়ার
    বর্তমান | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: চাপড়ায় বাসস্ট্যান্ড না থাকায় দুর্ভোগের মধ্য পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। একইসঙ্গে যত্রতত্র ছোটবড় গাড়ি, বাস দাঁড়ানোয় প্রবল যানজট হচ্ছে। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা, স্বাভাবিকভাবেই যানজট আরও তীব্র হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষ্ণনগর করিমপুর রাজ্য সড়কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান চাপড়া। তবে, চাপড়ায় রেলপথ না থাকায় সড়ক পথই এই এলাকার যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। ফলে প্রতিদিন চাপড়ার বাজার এলাকা দিয়ে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে ছোট গাড়ি, ট্রাক, ট্রাক্টর, ইঞ্জিনভ্যান সহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে।  গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় যানবাহনের চলাচলের তুলনায় রাস্তা চওড়া না হওয়ায় প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে। যার জেরে নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। যানজট নিয়ন্ত্রণে করতে সিভিক ভলেন্টিয়ার থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা কম। অথচ এই চাপড়ার বাসস্টপের নিকটে রয়েছে চাপড়া বিডিও অফিস, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের অফিস, রেজিস্ট্রি অফিস, ব্যাঙ্ক সহ একাধিক সরকারি দপ্তর। রয়েছে গ্রামীণ হাসপাতাল, থানা, কলেজ, স্কুল সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাশেই আছে পাইকারি ও খুচরো সব্জি বাজার। বাঙালঝি, বড় আন্দুলিয়া, লক্ষ্মীগাছা, হাটখোলা, হৃদয়পুর সহ একশোর বেশি গ্রাম রয়েছে। সীমান্তের এই গ্রামগুলি থেকে অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে চাপড়ায় আসেন। তাই কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কের উপর চাপ অব্যাহত। এই যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও, সেই তুলনায় রাস্তা চওড়া হয়নি। বরং রাস্তার ধারের বিভিন্ন দোকানপাট করায় রাস্তা আরও সংকীর্ণ হচ্ছে। এছাড়াও বাসস্ট্যান্ড না থাকায় হৃদয়পুর, মাধবপুর, গোংড়া, পাটিকাবাড়ি, মহেশনগর রুটের বাসগুলি দীর্ঘদিন রাস্তার দাঁড়িয়ে থাকে। অন্যান্য বাসগুলিও রাস্তায় দাঁড়িয়েই যাত্রী তোলে ও নামায়। একইসঙ্গে টোটো ও অটো স্ট্যান্ড না থাকায় যাত্রী পাওয়ার আশায় চালকরা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে পড়ে। গোটা এলাকায় হয়ে যায় যানজট। এই যানজটের কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। যার ফলে মরণাপন্ন রোগীর অ্যাম্বুলেন্সও এতে দাঁড়িয়ে পড়ে। বাস দাঁড়ানোর স্ট্যান্ড বা নির্দিষ্ট কোনও জায়গা না থাকায় বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হয়। ফলে যানজট হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যানবাহন যাওয়ার জায়গা না থাকায় প্রায়ই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত বলেও কিছু নেই। স্থানীয় মানুষের স্পষ্ট কথা, একটা বাসস্ট্যান্ড খুব প্রয়োজন। পাকাপোক্ত উন্নত পরিকাঠামো গড়ে বাসস্ট্যান্ড গড়ে তোলা হলে মানুষের উপকার হবে। পাশাপাশি যানজট অনেকটা আয়ত্বে আসবে। এ নিয়ে স্থানীয় চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলেন, চাপড়ার বাসস্ট্যান্ডের সমস্যা বহু পুরনো। সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তবে সাংসদ মহুয়া মৈত্র এই বাসস্ট্যান্ড করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। আশা করা যায় খুব দ্রুত এর সমাধান হয়ে যাবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)