সংবাদদাতা, তেহট্ট: তেহট্টে বহুদিন ধরে বই মেলা হচ্ছে না। ২০১১ সালে শেষবারের মতো তেহট্ট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বইমেলা হয়েছিল। যদিও সেই মেলা বেসরকারিভাবে হতো। তেহট্টের বইপ্রেমীরা চাইছেন, এবার সরকারিভাবেই বইমেলা শুরু হোক। এমনিতে সরকার কৃষিমেলা, খাদিমেলা, শ্রমিক মেলা সহ নানা মেলা আয়োজন করছে। এবার নাগরিক স্বার্থে তেহট্ট মহকুমা বইমেলাও শুরু হোক।
২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে বেসরকারি উদ্যোগে তেহট্টে বইমেলা হয়েছে। ‘তেহট্ট মহকুমা বইমেলা’ নামে এই মেলায় প্রচুর বইপ্রেমীর ভিড় হতো। সেসময় তেমনভাবে সরকারি সাহায্য মেলেনি। বইমেলা কমিটির সদস্যরা মনে করেন, সরকারি সাহায্য পেলে এই বইমেলা বন্ধ হতো না। এখনও সরকারি সাহায্য পেলে ফের বইমেলা আয়োজন করা যাবে বলে তাঁরা জানান।
সেসময় বইমেলা কমিটিতে প্রবীণ ও নবীন-দু’দলই ছিলেন। বয়স্ক ব্যক্তিরা মেলার জন্য টাকার সংস্থান করতেন। তরুণরা মেলা আয়োজনে পরিশ্রম করতেন। কিন্তু, ধীরে ধীরে বয়সজনিত কারণে প্রবীণরা মেলা আয়োজন থেকে সরে আসেন। ওই তরুণরাও কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। ফলে মেলা বন্ধ হয়ে যায়।
সেসময় বইমেলা কমিটির সম্পাদক ছিলেন সমীরণ কর্মকার। তিনি বলেন, ২০১১ সালের পর বইমেলা চালানোর ক্ষমতা আর আমাদের ছিল না। বয়স বেড়েছিল। পরিশ্রম করার ক্ষমতা ছিল না। বইমেলা করার খরচও বেড়েছিল। বেশ কিছু তরুণ উৎসাহের সঙ্গে মেলা আয়োজনে অংশ নিতেন। কিন্তু তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমরা ছেড়ে দেওয়ার পর তাঁরা বইমেলা চালাতে পারেননি। সরকার থেকে সাহায্য করা হলে ফের বইমেলা আয়োজন করা যাবে।
জানা গিয়েছে, তখন বই কেনার জন্য তেহট্ট মহকুমার প্রত্যেক বিদ্যালয়কে ৫০০০ ও গ্রন্থাগারকে ১০০০০ টাকা দেওয়া হতো সাংসদ তাপস পালের তহবিল থেকে। শর্ত একটাই, বইমেলা থেকেই বই কিনতে হবে। তবে বইমেলা কমিটি সরাসরি সরকারের তরফে সাহায্য পায়নি। তেহট্টের বইপ্রেমীরা জানান, তেহট্টে বইমেলা আয়োজনের মতো পরিবেশ রয়েছে। সরকার একটু উদ্যোগী হলে এখানে মহকুমা বইমেলা আয়োজন করা যাবে।