সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: সোমবার থেকে শুরু হল জলপাইগুড়ি জেলা বইমেলা। এবার বইমেলা হচ্ছে ময়নাগুড়িতে। প্রথম দিনই উৎসবে পরিণত হল মেলা প্রাঙ্গণ। উদ্বোধন হওয়ার আগেই বইপ্রেমীদের ভিড় উপচে পড়ল মেলা মাঠে। বইমেলার গেট ‘সেলফি জোন’-এর চেহারা নেয়। প্রথমদিনের ভিড় দেখেই চওড়া হাসি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকাশনা সংস্থাগুলির।
৩৬তম জেলা বইমেলার আসর বসেছে ময়নাগুড়ি ফুটবল ময়দানে। এদিন শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মেলা। পাঁচবছর পর ময়নাগুড়িতে জেলা বইমেলার আসর বসল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সুবোধ সরকার। এসেছিলেন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন, সহ সভাধিপতি সীমা চৌধুরী। বইমেলা কমিটিকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বইমেলা আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলার প্রবেশদ্বার খোলা থাকবে। রাজ্য সরকারের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা বিভাগের উদ্যোগে এই মেলা। আগামী ক’দিন মেলামাঠে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে স্থানীয় ও অন্য জেলার শিল্পীরাও অনুষ্ঠান করবেন।
এদিন বইমেলায় আসা জোরপাকড়ির পিন্টু সেন বলেন, পাঁচ বছর পর মেলা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বইমেলা ঘিরে ময়নাগুড়িবাসীর উন্মাদনা রয়েছে। বেশ কয়েকটি বই কিনেছি। চেষ্টা করব প্রতিদিন একবার করে আসার।
কলকাতা থেকে বইমেলায় আসা একটি প্রকাশনা সংস্থার পক্ষে চন্দ্রমণি মজুমদার বলেন, প্রথম দিন ভিড় দেখে মনে হচ্ছে ব্যবসা ভালো হবে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ভিড় যথেষ্ট রয়েছে। অনেকেই বই কিনে নিয়ে গেলেন।
বইমেলা কমিটির কার্যকারী সম্পাদক মনোজ রায় বলেন, ৮৪টি বুকস্টল করা হয়েছে। সোমবার শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে শুরু হল বইমেলা। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। বইমেলা মাঠে প্রবেশের কোনও টিকিট নেই। বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাক, সেটাই চাইছি আমরা। প্রথম দিনেই জমজমাট জেলা বইমেলা। ময়নাগুড়িতে তোলা নিজস্ব চিত্র।