সংবাদদাতা, মানিকচক: বন্যা দুর্গতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভাব, অভিযোগ শুনতে নতুন কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের। ভূতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুরে শুরু হল ‘এক ডাকে বিধায়কের প্রতিনিধি’ কর্মসূচি।
মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের নির্দেশে পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষের উদ্যোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে সোমবার। এদিন দক্ষিণ চণ্ডীপুরের সুখদেবটোলা গ্রামে বাড়িতে গিয়ে সমস্যার কথা শুনে নথিভুক্ত করে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিশেষ করে বন্যা পরিস্থিতির পর এলাকাবাসীর মূল সমস্যা কী, সেই তথ্য নেওয়ার দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে।
সাবিত্রীর কথায়, এলাকাবাসীর অভাব-অভিযোগ শুনে সমাধান করাই আমার কাজ। এই কর্মসূচির জন্য আমার কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আমি শুরু করতে বলেছি। এরপর মানিকচকের সমস্ত এলাকায় এই কর্মসূচি হবে।
ভূতনির তিনটি পঞ্চায়েত এলাকা এবছরের বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার রেশ এখনও টাটকা মানুষের মনে। রাস্তাঘাট থেকে বাড়ি, বিস্তীর্ণ এলাকায় সমস্ত কিছু তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গায়। সেই পরিস্থিতি পার করে ফের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরার চেষ্টা করছেন বাসিন্দারা। এমন সময় তাঁদের পাশে দাঁড়াতে নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রানি মণ্ডলের উদ্যোগে সুখদেবটোলা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভাব অভিযোগ শুনতে হাজির হয়েছিলেন ব্লক তৃণমূলের সেক্রেটারি কৈলাস মণ্ডল, দ্বিজেন মণ্ডল সহ অন্যরা।
এদিন প্রায় ৫০ টি বাড়িতে যান তাঁরা। তার মধ্যে প্রায় ২০টি পরিবার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও বাংলার বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এবিষয়ে রানি বলেন, ভূতনির ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির পর সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে এই উদ্যোগ। রাস্তাঘাট, আলো, বিধবা ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং বাংলার বাড়ি নিয়ে বেশি অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করব। বিধায়কের নির্দেশে দুর্গতদের বাড়ি গিয়ে সমস্যা শুনছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। - নিজস্ব চিত্র।