নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ছটপুজোর রাতে খুন হয়ে যাওয়া যুবতী পুষ্পা ছেত্রীর প্রেমিক তথা মূল অভিযুক্ত অরুণ পোড়েলকে পাঞ্জাব থেকে গ্রেপ্তার করল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস। ভক্তিনগর থানার পুলিসের চারজনের একটি টিম পাঞ্জাবে গিয়ে আধাসামরিক বাহিনীতে কর্মরত অরুণকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসতে সোমবার শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা হয় ওই টিম।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর শিলিগুড়ি শহরের ভানুনগরে ঘরের ভিতর ওই যুবতীকে খুন করা হয়। যুবতীর গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ পাওয়া গিয়েছিল। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, এ ধরনের ক্ষত সাধারণত পিছন থেকে গলায় ধারালো কিছু দিয়ে কাটার চেষ্টা হলে দেখা যায়। সেই সূত্র ধরে পুলিস তদন্ত শুরু করতেই জানতে পারে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে পুষ্পাকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে,পাঞ্জাবে আধাসামরিক বাহিনীতে কর্মরত অরুণ পোড়েলের সঙ্গে পুষ্পার সম্পর্ক ছিল। পরে সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন অরুণের স্ত্রী। এরপরেই শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। অভিযোগ,ঝামেলা বাড়তেই সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন অরুণ। এ কাজে অরুণকে সাহায্য করেন তাঁর এক ঘনিষ্ঠ। এরপরেই খুনের জন্য সুপারি কিলার অভিষেক দর্জিকে দায়িত্ব দেয় অরুণ। অভিষেক এই কাজে রুস্তম বিশ্বকর্মাকে সঙ্গে নিয়ে ছটপুজোর রাতে পুষ্পাকে খুন করে। অভিষেক ও রুস্তম পুষ্পার পূর্বপরিচিত ছিল। ছটপুজোর রাতে তাই সহজেই তারা পুষ্পার ঘরে প্রবেশ করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে পুষ্পাকে। পাঞ্জাবে বসে সমস্ত বিষয়ের উপর নজর রাখছিল অরুণ।
পুলিস তদন্তে নেমে প্রীতিকা, রুস্তম ও অভিষেককে আগেই গ্রেপ্তার করে। তবে আধাসামরিক বাহিনীতে কর্মরত অরুণকে গ্রেপ্তার করতে একাধিক নথি সংগ্রহের কাজ এতদিন করছিল পুলিস। শেষপর্যন্ত সমস্ত নথিপত্র জোগাড় করে পাঞ্জবে পৌঁছয় পুলিসের টিম। আজ, মঙ্গলবার মূল অভিযুক্ত অরুণ পোড়েলকে নিয়ে শিলিগুড়ি আসার কথা পুলিসের। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, ভানুনগরের যুবতী খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত অরুণ পোড়েল গ্রেপ্তার হয়েছে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হচ্ছে।