• একদিনে রাজ্যে ভোট করতে পারে না আবার ‘এক দেশ এক নির্বাচন’, কটাক্ষ অভিষেকের
    বর্তমান | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মোদি সরকারের ‘এক দেশ এক নির্বাচনে’র উদ্যোগকে ‘হাস্যষ্পদ’। মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তোপ, সংবিধান বদলের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। আমরা এটা রুখবই। অভিষেক বলেন, সাধারণ মানুষকে সংবিধান যে ভোটাধিকার দিয়েছে, সেটা কেড়ে নিতে চাইছে কেন্দ্র। পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধানসভা, লোকসভা, এভাবে নির্বাচনে ভোটাররা বার বার ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়। সরকার এতে চাপে থাকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এখন সেই অধিকারই কেড়ে নিতে চাইছে। যারা একটা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটই একদিনে করতে পারে না, তারা বলছে লোকসভা-বিধানসভার ভোট হবে একসঙ্গে। এরপর কোনদিন বলবে, এক দেশ এক রাজনৈতিক দল। এক দেশ এক নেতা। এসব হাস্যষ্পদ। কটাক্ষ অভিষেকের। 


    প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কমিটির সুপারিশ মেনে আগামী বিধানসভা-লোকসভার নির্বাচন একসঙ্গে করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তারই লক্ষ্যে সরকার সংবিধান সংশোধন বিল আনছে। সঙ্গে কেন্দ্রশাসিত রাজ্য সংশোধন বিল। সাংসদদের এই দুটি বিলই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আজ, মঙ্গলবার এই বিল পেশ হতে চলেছে। সরকারের এই উ঩দ্যোগের প্রবল সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিল আটকাতে দলের সব এমপিকে মঙ্গলবার  লোকসভায় অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হুইপ জারি করল তৃণমূল।


    সোমবার সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বলেন, সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ভোট হল। দু’দিনে ভোট হল। পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট হয়েছে আট দফায়। চব্বিশে লোকসভার ভোটেও বাংলায় ভোট হল সাত দফায়। আমার নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মণ্ডহারবারেই ভোট হয়েছে তিন দফায়। ভাবা যায়! ফলে যারা একটা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটই একসঙ্গে করতে পারে না, তারা কী করে গোটা দেশ সব রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আর লোকসভার ভোট একসঙ্গে করাবে? এটা সংবিধান বদলের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। মোদির উদ্দেশে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, আমরা এই সংবিধান বদলের উদ্যোগ রুখবই। 


    অভিষেক বলেন, কেউ যেন ভুলে না যায়, তৃণমূলই একমাত্র দল, যারা সরাসরি বিজেপিকে লড়াই করে হারিয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের অন্য দলগুলি কিন্তু একজোট হয়ে লড়েছে। বিজেপি ছেড়েও নেতারা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে কারও সংশয় আছে কি? তাই তিনি জোটকে নেতৃত্ব দেবেন  কি না, সেটা ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আলোচনা হওয়া উচিত। তৃণমূলকে ছোট বা আঞ্চলিক দল ভেবে যেন কেউ ভুল না করে।
  • Link to this news (বর্তমান)