বাজারে নিহারি ও পাতাশুকোর অভাব, চিন্তায় খুটি ব্যবসায়ীরা
বর্তমান | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: বাজারে চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত নিহারি ও পাতা মাছের শুকো নেই। ট্রলারগুলি মূলত নদী ও সমুদ্র থেকে এ বছর বেশি পরিমাণের নিহারি ও পাতা মাছ ধরে নিয়ে আসতে পারেনি। তাই শুকো মাছের ব্যবসার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত খুটি ব্যবসায়ীরা। জানা গিয়েছে, নামখানার লায়লগঞ্জ, ফ্রেজারগঞ্জ, কালীস্থান, মৌসুনি ও সাগর, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমার নদী সংলগ্ন কিছু অঞ্চলে মাছ শুকনো করার খুটি (যেখানে মাছ শুকনো হয়) রয়েছে। এই খুটিগুলিতে মূলত সাত রকমের মাছ শুকনো করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খুটিগুলিতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে পাতা, নিহারি, ছুরি, আমুদি, ভোলা, চিংড়ি ও চেলা মাছ শুকনো করা হয়। তবে সব থেকে বেশি চাহিদা নিহারি ও পাতা মাছের শুকোর। বর্তমান পাইকারি বাজারে নিহারি মাছের শুকো প্রায় সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পাতা মাছের শুকোর কিলো প্রায় ৩০০ টাকা। তুলনামূলকভাবে অন্য মাছের শুকোর বাজারদর অনেকটাই কম। এ ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী, শুকোর বাজারদর ওঠানামা করে। এই অঞ্চলে বেশি সংখ্যক শুকো গাড়িতে করে শিলিগুড়ি হয়ে যায় আসাম ও ত্রিপুরায়। এছাড়াও বিদেশের বাজারেও রপ্তানি হয়। কিন্তু এ বছর কাঁচা মাছের আমদানি কম থাকায় সমস্যায় পড়েছেন খুটি ব্যবসায়ীরা। কয়লাঘাটা মৎস্যজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক কার্তিক দাস বলেন, ‘শুকো মাছের মরশুম শুরু হয় আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি থেকে। চলে মাঘ মাসের শেষ পর্যন্ত। অর্থাৎ এই মরশুমের আর মাত্র আড়াই মাস বাকি রয়েছে। নদী ও সমুদ্র থেকে মাছ কম আসায় খুটি ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এছাড়াও গত আড়াই মাসে বেশ কয়েকবার ঝড়বৃষ্টি হওয়ার কারণে এই ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগামী দিনগুলিতে ব্যবসার কি পরিণতি হবে তা নিয়ে খুটি ব্যবসায়ীরা চিন্তিত।’ নিজস্ব চিত্র