পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান হল না এবার
বর্তমান | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বনগাঁ: বাংলাদেশে লাগাতার অশান্তি ও অচলাবস্থার প্রভাব পড়ল ‘বিজয় দিবস’ উদযাপনেও! এই বিশেষ দিনে এবার পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে পালিত হলই না দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের চিরাচরিত রীতি। প্রতি বছর এই দিনে বাংলাদেশের বিজিবির পক্ষ থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হতো মিষ্টি ও ফুল। বিএসএফের তরফেও বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানো হতো। দু’দেশের মাঝখানে ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে বিজিবি ও বিএসএফের পদস্থ আধিকারিক ছাড়াও অনেকে উপস্থিত থাকতেন। বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির পক্ষ থেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। এ বছর সেসব কিছুই চোখে পড়েনি। বাংলাদেশ সীমান্তে বিক্ষিপ্তভাবে ছোটখাটো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও সেই জৌলুস ছিল না বলে জানা গিয়েছে। ওপারে কোথাও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের চিত্রও চোখে পড়েনি।
এদিনই বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন যশোরের ফুলতলার বাসিন্দা হরিদাস পাল। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবস আমাদের কাছে গর্বের। তবে এবছর সেভাবে অনুষ্ঠান হচ্ছে না। কোথাও কোথাও সাদামাটা অনুষ্ঠান হলেও সেখানে কোথাও মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় নি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি জন্য সেখানকার অন্তর্বর্তী সরকারকেই দায়ী করেছেন অনেকে। ঢাকার বাসিন্দা তথা ব্যবসায়ী মুজিবর রহমান বলেন, ‘দেশে কোনও স্থায়ী সরকার নেই। যারা ভারত বিদ্বেষী মনোভাব দেখাচ্ছে, তারা রাজনীতির স্বার্থে এসব করছে। এই অচলাবস্থা বেশি দিন থাকবে না। স্থায়ী সরকার এলে ভারতের সঙ্গে পুনরায় সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হবে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের পরাজয় ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। দিনটি স্মরণ করে প্রতি বছর বিজয় দিবস পালিত হয়ে আসছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে ভারতীয় সেনাদের অবদান অনস্বীকার্য। সেই কথা মাথায় রেখে এই দিনে শহিদ ভারতীয় সেনাদেরও শ্রদ্ধা জানানো হয়। এবার সবটাই যেন খাপছাড়া, কোথাও যেন সুর কেটে গিয়েছে।