সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: আর কিছুদিন পরেই রয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। এখন জোরকদমে চলছে তার প্রস্তুতি। বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে আসছেন, দেখছেন বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কাকদ্বীপের লট নম্বর আটের অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড। গঙ্গাসাগর মেলার আগে কীভাবে এই অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হবে, তা নিয়ে চিন্তিত জেলা প্রশাসন। কারণ গঙ্গাসাগর মেলার সময় লট নম্বর আটের যে অংশে অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়, সেখানে এখনও জমে রয়েছে প্রায় হাঁটুসমান জল। তাছাড়াও ওই জমিতে এখন ধানগাছও পোঁতা রয়েছে। এত অল্প সময়ে কীভাবে ওই জমির জল শুকিয়ে অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক মহল। প্রায় রোজই পুলিস আধিকারিকরা ওই অঞ্চলে গিয়ে জমির জল মাপছেন।
জানা গিয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলার সময় প্রতি বছরই লট নম্বর আটের প্রায় একশো একর জমিতে অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়। এই বাসস্ট্যান্ডটি গোলপার্কের কাছ থেকে এক নম্বর জেটিঘাটে যাওয়ার পিচ রাস্তার পূর্ব দিকের জমিতে গড়ে তোলা হয়। দীর্ঘ এই বাসস্ট্যান্ড জুড়ে বাস রাখার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্বেচছাসেবী সংগঠন এবং অন্যান্য সংস্থা তাদের শিবিরও তৈরি করে। এছাড়া এই বাসস্ট্যান্ডে গ্রামীণ মেলাও বসে। গঙ্গাসাগরে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটাই মূল প্রবেশপথ হওয়ার কারণে এই অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ডটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা অমল দাস বলেন, প্রতি বছর মেলার আগে এই রকম সময়ে বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ অনেকটাই সম্পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর এখনও কাজ শুরু হয়নি। জমিতে জলও জমে রয়েছে। এদিকে, জমির জল শুকানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইলেকট্রিক মোটর বসিয়ে জল ছেঁচার কাজ চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিস আধিকারিক জানান, একটু জল শুকিয়ে গেলেই তড়িঘড়ি বাসস্ট্যান্ড তৈরি করার কাজ শুরু করা হবে।