• প্রভু জগৎবন্ধু কলেজে পরীক্ষার সময় এসএফআইয়ের বিশৃঙ্খলা, উত্তেজনা
    বর্তমান | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: পরীক্ষা চলাকালীন কলেজে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার নাম করে গেটের বাইরে চরম বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে বাম ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে আন্দুলের প্রভু জগৎবন্ধু কলেজে। পুলিস তাঁদের বাধা দিলে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় নেত্রী দীপ্সিতা ধরের নেতৃত্বে কলেজের বাইরেই তাণ্ডব চালান বাম কর্মী-সমর্থকরা। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সাঁকরাইল থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।


    কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দুলের প্রভু জগৎবন্ধু কলেজে ১১ ডিসেম্বর থেকে পঞ্চম সেমিস্টারের ইন্টারনাল পরীক্ষা চলছে। এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়। পাশাপাশি এই কলেজে ইগনুর হোম সেন্টার হওয়ায় দুপুর ১টার সময় প্রায় ১৫০০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসেন। সেই মতোই কলেজ চত্বরে পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিন দুপুরে প্রথমে কলেজ ভবনের বাইরে নিহত এসএফআই কর্মী স্বপন কোলের শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান দীপ্সিতা। ২০১০ সালে টিএমসিপি এবং এসএফআই কর্মীদের সংঘর্ষে খুন হয়েছিলেন স্বপন। এদিন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, কলেজে ভর্তির ফি কমানো সহ বিভিন্ন দাবিতে তাঁর নেতৃত্বে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে চেয়েছিলেন সংগঠনের কর্মীরা। অভিযোগ, কলেজের গেটে কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা তাঁদের বাধা দিলে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। অধ্যাপকদের একাংশ ও পুলিসের অনুরোধ সত্ত্বেও চিল-চিৎকারে স্লোগান দেন বাম ছাত্ররা। এরপর পরীক্ষার্থীদের একাংশ হল থেকে বেরিয়ে এসে পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করেন। তখন রীতিমতো মারমুখী হয়ে কলেজের বাইরে তাণ্ডব চালান বাম কর্মীরা। ছিঁড়ে ফেলা হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পোস্টার। তাতে তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। ইগনুর পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, ‘এসএফআই কর্মীদের বিশৃঙ্খলার জন্য আমরা কলেজে ঢুকতে পারছিলাম না। খুব ভয় হচ্ছিল।’ এরপর সাঁকরাইল থানার বিশাল পুলিস বাহিনী এসে আন্দোলনকারীদের কলেজের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়।


    এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় নেত্রী দীপ্সিতা ধর বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে স্মারকলিপি জমা দিতে কলেজে ঢুকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এই কলেজে টিএমসিপি ছাড়া অন্য কোনও দলের পতাকা নিয়ে ঢোকা যাবে না।’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাওড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিজ্ঞান মাঝি বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালীন এসএফআই নেত্রী বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। উল্টে পরীক্ষার্থীরাই প্রতিবাদ করেছেন। জেলা নেতৃত্বকে সবটা জানিয়েছি।’


    কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রতকুমার রায় বলেন, ‘স্মারকলিপি জমা দেওয়ার বিষয়টি আমাকে আগে থেকে জানানো হয়নি। তাছাড়া কলেজে ইগনুর পরীক্ষা চলছিল। সেকারণে তাঁদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)