নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: জেলা সদর বারাসতের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে তিতুমির বাসস্ট্যান্ড। ২৩টি রুটের কয়েক’শো বাস যাতায়াত করে এই স্ট্যান্ড থেকে। আর যাত্রীর সংখ্যাও যথেষ্ট। গুরুত্বপূর্ণ এই বাসস্ট্যান্ডেই জমে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। নোংরা থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন সাধারণ যাত্রী থেকে ব্যবসায়ীদের একাংশ। দ্রুত অবর্জনা পরিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বারাসতে তিতুমির কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে হাওড়া, সাঁতরাগাছি, বারুইপুর, গড়িয়া, হাড়োয়া, নৈহাটি, বারাকপুর সহ একাধিক রুটে বাস চলাচল করে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। বারাসত থেকে জোকা, টালিগঞ্জ ও ধর্মতলা এই তিনটি রুটের সরকারি বাসের অনুমতি মেলে করোনা মহামারীর আগে। ফলে, এই বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এই স্ট্যান্ডটি রয়েছে জেলা পরিষদের অধীনে। এটি নতুন করে সংস্কারের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারমধ্যেই বাসস্ট্যান্ডের ভিতরে জমা হয়ে পড়ে রয়েছে খাবার সহ বিভিন্ন সামগ্রীর প্যাকেট। এক বা দু’দিন নয়, দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গা কার্যত নোংরার স্তূপে পরিণত হয়েছে। আর তা থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। দিনের পর দিন এমন ঘটনা ঘটলেও তা সরানোর কোনও ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন। বাসযাত্রী রমা মজুমদার বলেন, এই কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নোংরা-আবর্জনা। কিন্তু একদিকে যেভাবে স্তূপ আকারে পড়ে রয়েছে তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। দিনের পর দিন এখানে কীভাবে এই নোংরা ফেলে রাখা হচ্ছে, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। দুর্গন্ধের জ্বালায় টেকা দায়। অন্যদিকে, মৃত্যুঞ্জয় মহান্তি বললেন, এই বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি থাকে। তার মধ্যে কীভাবে সকলের চোখ এড়িয়ে এখানে নোংরা আবর্জনা স্তূপ তৈরি হল তা স্পষ্ট নয়। হয়তো রাতের অন্ধকারে এখানে নোংরা ফেলে রাখা হচ্ছে। বাইরে থেকে কেউ তো এসে এখানে নোংরা ফেলে যায় না, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হয়তো ফেলেছেন। প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ আরসাদ উদ জামান বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। কে বা কারা, এখানে নোংরা ফেলেছে তা আমাদের জানা নেই। দ্রুত নোংরা পরিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি তদন্ত করে দেখা হবে আবর্জনার স্তূপ তৈরিতে জড়িত কারা। নিজস্ব চিত্র