• সুপ্রিম–নির্দেশের পরে ইডির কেসে চার্জ গঠনে তোড়জোড়
    এই সময় | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি–র মামলায় দ্রুত চার্জগঠন হতে চলেছে নিম্ন আদালতে। সোমবার এই মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোর্টে প্রমাণ–সহ নথিপত্র জমার নির্দেশ দিয়েছেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডির বিশেষ আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা।

    সেই সঙ্গে আগামিকাল, বুধবার ডিসেম্বর চার্জশিটে নাম থাকা সব অভিযুক্তকেই সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আদালত সূত্রের খবর, ওই দিন চার্জগঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে আদালত। চার্জগঠন হলে প্রতিদিন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ইডির এই মামলায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলার চার্জগঠন করতে হবে।

    এ দিন সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশের ব্যাপারে অবহিত করা হয় নিম্ন আদালতকে। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অয়ন শীল, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রও। গত ১৩ ডিসেম্বর প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় পার্থর জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও জেল থেকে তিনি ছাড়া পাননি। শর্ত আরোপ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে— চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই মামলায় চার্জগঠন করতেই হবে।

    যে সমস্ত সাক্ষীদের প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে ইডি–র, তাঁদের বয়ান রেকর্ড করতে হবে জানুয়ারির দ্বিতীয়–তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে। আবার চার্জগঠন প্রক্রিয়ার শুনানিতে আপত্তি জানাতে পারবেন পার্থর কৌঁসুলি। ফলে আগামী দিনে এই মামলার চার্জগঠনের দিকে নজর থাকবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের।

    সুপ্রিম–নির্দেশের পরই এদিন ইডি–র মামলায় নিম্ন আদালতে চার্জগঠনের তোড়জোড় শুরু গেল। বুধবারের মধ্যে সাক্ষীর তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন ইডির বিশেষ আদালতের বিচারক। এ দিন প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজির ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বিচারক তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন। তাঁকে বিচারক জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনার শরীর কেমন আছে?’ সুজয়কৃষ্ণর জবাব, ‘পায়ের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তারপর থেকে দাঁড়ালে পা কাঁপছে। তার ফলে হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে। দিন কয়েক আগে ডায়েরিয়াও হয়েছিল আমার। জেল হাসপাতালের চিকিৎসায় কিছুটা ভালো আছি।’

    সব শুনে আগামী ১৮ ডিসেম্বর অন্য অভিযুক্তদের মতো তাঁকেও আদালতে হাজিরা দিতে বলেন বিচারক। পার্থ–সুজয়কৃষ্ণদের আইনজীবীদের দাবি, প্রায় দু’বছর ধরে তদন্ত চলছে। ইডি তেমন কোনও নথিপত্র এবং প্রমাণ দাখিল করতে পারছে না। জোর করে জেলে আটকে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। সে কারণেই জামিন পেয়ে যাচ্ছেন মক্কেলরা। চার্জগঠনেও দেরি হচ্ছে। দ্রুত চার্জগঠন প্রক্রিয়া শুরু হোক।

  • Link to this news (এই সময়)