নরেন্দ্রপুরে মায়ের পর মৃত্যু মেয়ে-বাবার, উদ্ধার হওয়া চিঠি সূত্রে পুলিশের নজরে বড় তথ্য! ...
আজকাল | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মায়ের পর মৃত্যু মেয়ে-বাবারও। একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু নরেন্দ্রপুরে। সূত্রের খবর, তাঁদের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া চিঠির সূত্রে বর্তমানে পুলিশের নজরে এক। সে ওই পাড়ার যুবক বলেই জানা গিয়েছে। জমি বাড়ি দালালির কাজে যুক্ত এই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে গিয়েছে ওই পরিবার। যদিও পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে এই মুহূর্তে ওই যুবক ভর্তি হাসপাতালে। মৃত দীপক রায়, জলি রায় ও তাদের একমাত্র মেয়ে দিশারী রায়ের দেহ আজ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন জলি রায়ের ভাই জয় নারায়ণ রায় রায়গঞ্জ থেকে কলকাতায় এসেছেন। এই পরিবারের তিনজনের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার। বুধবার রাতে তাঁরা এই চরম পদক্ষেপ বেছে নেন বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তিন জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই প্রথমেই মৃত্যু হয় মায়ের। বাবা এবং মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এমআর বাঙুর হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করপুর এলাকায় বাসিন্দা দীপক রায় (৬৩), স্ত্রী জলি রায় (৫৫) ও মেয়ে দিশারী রায় (২৩)। বুধবার রাতে জলি তাঁর বোনকে ফোন করে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বাড়িতে আসতে বলেন। বৃহস্পতিবার বাড়িতে এসে অনেক বার ডাকাডাকির পরও দরজা খোলেননি কেউ। অবশেষে ঘরের দরজা খোলেন দিশারী। সে-ই মাসিকে জানায় সকলে মিলে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। সেই সময় দিশারীর হাতে শিরা কাটা ছিল। এই অবস্থা দেখে আঁতকে ওঠেন ওই মহিলা। চিৎকার ডাক দেন প্রতিবেশীদের। স্থানীয়রা এসে বাড়ির সকলকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই জলিকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপকের বাড়ি হাবড়ায়। তিনি ঘরজামাই হিসেবে নরেন্দ্রপুরের বাড়িতেই থাকতেন। মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভের কাজ করতেন। আয় তেমন ছিল না। কিছুদিন আগে সেই কাজটাও চলে যায়। তারপর বাড়িতেই একটি মুদি দোকান খোলেন। কিন্তু দোকানও ভাল ভাবে চলছিল না বলে বন্ধ করে দেন। পরিবারের তেমন কোনও নির্দিষ্ট আয় ছিল না। আর্থিক অনটনের কারণে মাঝপথেই কলেজের পড়াশোনা ছেড়ে দেন দিশারী।