আরজি কর-কাণ্ডে জামিন সন্দীপ এবং অভিজিতের, গ্রেফতারির ৯০ দিন পরেও চার্জশিট পেশ করতে পারল না সিবিআই...
আজকাল | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জামিন পেলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। গ্রেফতারির ৯০ দিন পরেই আরজি কর-কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করতে পারেনি সিবিআই। চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুন এবং ধর্ষণের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দু'জনের জামিন মঞ্জুর করেছে শিয়ালদহ আদালত। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এখনও জামিন পাননি সন্দীপ। তাই আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। অভিজিতের বিরুদ্ধে অন্য কোনও মামলা নেই। তাই তিনি জেল থেকে বার হতে পারবেন। তবে যখন থানায় ডাকা হবে, তখনই যেতে হবে তাঁকে।শুক্রবার সিবিআই আদালতে ছিল আরজি করে খুন এবং ধর্ষণের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই সিবিআই জানায়, তদন্ত চলছে। এখনই তারা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করতে পারবে না। এর পরেই সন্দীপ এবং অভিজিতের আইনজীবীরা তাঁদের মক্কেলের জামিনের আবেদন জানান। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। সন্দীপের আইনজীবী বলেন, ''কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি সিবিআই। তাই জামিন পেয়েছেন।'' আদালতের বাইরে অভিজিতের আইনজীবী বলেন, ''চার্জশিট পেশ করা নিয়ে সিবিআই আদালতে সঠিক কোনও উত্তর দিতে পারেনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, তদন্ত এখনও চলছে। তাই চার্জশিট পেশ করতে দেরি হচ্ছে। কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি সিবিআই।''গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই।গত ১৪ সেপ্টেম্বর আরজি কর-কাণ্ডের ৩৫ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ। দু'জনকেই গ্রেপ্তার করে সিবিআই। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। ১৬ দিন একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দীপকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। গ্রেপ্তারির ঠিক ৯০ দিন পরেই জামিন পেয়ে গেলেন দু'জনেই।