• কেমন ছিল সেই চিঠি লেখার দিনগুলি? সোনালি অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে গেল ভারতীয় ডাক বিভাগ...
    আজকাল | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'তুমি চিঠি লিখে ভুলে গেলে জুড়ে দিতে খাম' বা হিন্দিতে 'চিঠ্ঠি আয়ি হ্যায়' গানের সঙ্গে কমবেশি সকলেই পরিচিত। চিঠিতেই পাওয়া যেত জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে বা বিচ্ছেদের সংবাদ। কিন্তু সেসব আজ অতীত। আজ আর চিঠি আসে না বা কেউ আর কাউকে চিঠি পাঠায়ও না। সে ছিল একটা দারুন সুন্দর অতীত। আর হারানো সেই অতীত যেন ফিরে এল কিছুক্ষণের জন্য। সৌজন্যে, ভারতীয় ডাক বিভাগ। পড়ুয়াদের কাছে চিঠি লেখার ঐতিহ্য বোঝাতে এবং ভারতীয় ডাক বিভাগের সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে চিঠি লেখার এক অভিনব প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল হাওড়ার কান্দুয়ায়। 

    ভারতীয় ডাক বিভাগের উদ্যোগে এবং একটি সংগঠনের সহযোগিতায় হাওড়া কান্দুয়া মহাকালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চিঠি লেখার প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। সাঁকরাইল ব্লকের কান্দুয়া গ্রামের ১০ টি প্রাথমিক স্কুল ও  একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং নলপুর গ্রামের দুটি প্রাথমিক স্কুলের প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রী চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। শুক্রবার এ প্রসঙ্গে হাওড়া ডাক বিভাগের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট গীতা বার্লা বলেন, 'সময়টা দ্রুত এগোচ্ছে। এখন সর্বত্র ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা। মোবাইলে ট্যাবে টাইপ করে লেখা যায় ও মোছাও যায়। কিন্তু হাতে-কলমে চিঠি লেখা ছিল একটা ঐতিহ্য। ছাত্র-ছাত্রীদের চিঠি লেখার প্রতি দক্ষতা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে ভারতীয় ডাক বিভাগের পরিচয় ঘটাতে এটা একটা অভিনব উদ্যোগ।'  

    কান্দুয়া মহাকালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুনাল রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, একটা সময় চিঠি আসত বাড়িতে। আঠা দিয়ে সাঁটানো খামটি খোলার মধ্যে একটা অতুলনীয় উত্তেজনা ছিল। দিনগুলো আমরা হারিয়েছি। কিন্তু চাইলে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকরা পড়ূয়াদের সঙ্গে চিঠির মেলবন্ধন ঘটাতে পারেন। শুধু দরকার ছাত্র-ছাত্রীদের লেখার জন্য প্রতি সপ্তাহে চর্চা করানো এবং তা করাতেই হবে। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে লেখার বিষয়ে অভিভাবকদের গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে স্কুলেই ছোট করে হোক, ক্ষতি নেই। মাঝেমধ্যেই লেখা নিয়ে প্রতিযোগিতা করা যেতে পারে। এতে করে পড়ুয়াদের আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
  • Link to this news (আজকাল)