• স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার কম, জরিমানা নিয়ে বিতর্কের মুখে মুর্শিদাবাদের স্কুল...
    আজকাল | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুলে উপস্থিতির হার বাড়ানোর জন্য যে সমস্ত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার কম তাঁদেরকে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মুর্শিদাবাদের হরিহারপাড়া ব্লকের চোঁয়া বি বি পাল বিদ্যানিকেতন স্কুলের তরফ থেকে। কিন্তু বিতর্কের মুখে সেই সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছিল। বিতর্কের মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি, ইতিমধ্যে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।  মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া ব্লকের এই স্কুলটি এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। প্রায় দু'হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন এখানে। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রায় ২৭০ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৭১ জন পরীক্ষার্থী অবতীর্ণ হতে চলেছেন। স্কুল সূত্রের খবর, বিভিন্ন কারণে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী নিয়মিত স্কুলে আসেন না। অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদেরই উপস্থিতির হার ৭৫ শতাংশের নিচে। 

    পরীক্ষার আগে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক এবং অন্যান্য শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্প্রতি স্কুলের শিক্ষকরা এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার ৭৫ শতাংশের কম তাঁদেরকে ১৫০ টাকা করে জরিমানা করা হবে। এই টাকা না দিলে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বোর্ডের পরীক্ষায় বসার ফর্ম পূরণ করতে দেওয়া হবে না। স্কুলের শিক্ষকদের বক্তব্য, পড়ুয়াদের বারবার বলা সত্ত্বেও নিয়মিত স্কুলে আসে না। তাই তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজন ছাত্রছাত্রী জরিমানার টাকা দেওয়ার পর কিছু অভিভাবক জরিমানা দিতে বেঁকে বসেন এবং গোটা ঘটনাটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ আকারে জানানো হয়। 

    স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মুর্শিদা বিবি বলেন, "মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম মেনেই যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত স্কুলে আসেনি এবং ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি নেই তাঁদের জরিমানা করা হয়েছিল। পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী ফর্ম পূরণের পর এই টাকা পর্ষদের ঘরেই জমা হয়ে যেত।" তিনি জানান, কয়েকজন অভিভাবক গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক, ডিআই) অমর শীলের কাছে অভিযোগ জানান। এরপর আমরা ডিআই-এর নির্দেশ মতো এই টাকা নেওয়া বন্ধ রেখেছি। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের টাকা নেওয়া হয়েছিল তাদের সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ডিআই  অফিস থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী বছর স্কুলের অভিভাবকদেরকে নিয়ে আগে বৈঠক করে বিষয়টি জানিয়ে তারপর জরিমানা নেওয়ার জন্য।
  • Link to this news (আজকাল)