আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক পরীক্ষায় নকল করা এবং প্রশ্নপত্রের উত্তর ফাঁস হওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বহু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এবার চাঞ্চল্য ছড়াল নকল টেস্টপেপার উদ্ধারকে ঘিরে। মুর্শিদাবাদের সালার থানার পুলিশ শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এলাকারই একটি সংস্থার অফিসে হানা দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু নকল মাধ্যমিকের টেস্টপেপার। ইতিমধ্যেই টেস্টপেপারগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে বইটির মূল প্রকাশনা সংস্থার তরফ থেকে এখনও পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের একটি সংগঠনের তৈরি টেস্টপেপার মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বেশ কয়েক দশক ধরে বিপুল জনপ্রিয়। সম্প্রতি সালার থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায়, শিক্ষক সংগঠনের সেই টেস্ট পেপার নকল করে কলকাতা থেকে সালারে নিয়ে এসে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। এর পরেই পুলিশ ওই ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির অফিসে হানা দেয় এবং সেখান থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নকল টেস্টপেপার।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিক্ষক সংগঠনের ওই টেস্ট পেপার কলকাতার একটি নির্দিষ্ট প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়। অভিযোগ, সেই টেস্টপেপার প্রকাশিত হওয়ার পর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তা জাল করে বিক্রি করছেন।
এবিটিএ-র মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক গৌতম ব্যানার্জি বলেন, "৩ ডিসেম্বর আমাদের সংগঠনের টেস্টপেপার প্রকাশিত হয়েছে। মুর্শিদাবাদ তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমরা খবর পাচ্ছি ইতিমধ্যেই আমাদের প্রকাশিত বই নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে।" তিনি বলেন, "এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যক্তি আমাদের সংগঠনের প্রকাশিত বইয়ের সামনের পাতাটি এক রেখে অন্যত্র জাল বই ছাপাচ্ছেন। জাল বইগুলোর ভিতরে ছাত্রছাত্রীদের সমাধান করার জন্য যে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে আমাদের প্রশ্নপত্রের মিল আছে কি না জানা নেই। আমাদের সংগঠনের প্রকাশিত বইয়ের কাগজের গুণমান এবং জাল বইয়ের কাগজের গুণমানের মধ্যে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে।"
গৌতমবাবু আরও বলেন, "আমাদের টেস্টপেপারের দাম এই বছর ১৭৫ টাকা রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা খবর পাচ্ছি চাহিদা বেশি থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা জাল বই বেশি দামে বিক্রি করছেন। গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে।"