বিকেল হতেই প্ল্যাটফর্ম পরিণত হয় বাজারে, দুর্ভোগ নিত্যযাত্রীদের, সব জেনেও উদাসীন রেল পুলিশ...
আজকাল | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
মিল্টন সেন: নিয়মিত বাজার বসে প্ল্যাটফর্ম জুড়ে। দুপুর গড়ালেই রেল স্টেশন পরিণত হয় বাজারে। প্রতিদিন একই দৃশ্য নজরে পড়বে ব্যান্ডেল হাওড়া মেন শাখার ব্যস্ততম রেল স্টেশন চুঁচুড়ায়। দীর্ঘ সময় ধরে দৈনন্দিন প্ল্যাটফর্ম জুড়ে এই বাজার বসা যাত্রীদের একটা বড় অংশের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনও হেলদোল নেই রেল পুলিশের।
স্থানীয়রা জানান, সকালে বোঝার কোনও উপায় থাকে না, স্টেশন চত্বরে থাকে হাতে গোনা কয়েকটি দোকান। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই পাল্টে যায় চিত্র। একে একে প্লযাটফর্ম ভরে যায় কাঁচা বাজার, ফল, সবজি থেকে মাছ মাংসের দোকানে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পুরোদস্তুর বাজারে পরিণত হয় স্টেশন চত্বর। স্বাভাবিক কারণেই সমস্যায় পড়েন রেল যাত্রীরা। রোজ বিকেলে স্টেশনের ২ নং এবং ৩ নং প্ল্যাটফর্ম জুড়ে বসে বাজার। আলু, পটল, আদা, রসুন সহ নানান সবজির পসরা সাজিয়ে বসেন একাধিক দোকানদার। প্ল্যাটফর্মেই বিক্রি হয় নানা ধরনের মাছ। বসে মাংসের দোকান। ভিড় জমিয়ে রাখে নানান খাবারের দোকান। সঙ্গে খেলনা থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করেন হকাররা। যাত্রীদের একাংশ আবার ট্রেন থেকে নেমেই বাজার করতে শুরু করে দেন। বিকেল হতেই শুরু হয় অফিস যাত্রী এবং দৈনন্দিন কাজে যাওয়া নিত্যযাত্রীদের বাড়ি ফেলার পালা। ফলে, বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত টানা ভিড়ে ঠাসা থাকে জনবহুল এই রেল স্টেশনের প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্ম।
নিত্য যাত্রীদের অভিযোগ, সারাদিন ওই স্টেশনে দাড়ায় লোকাল এবং দূরপাল্লার একাধিক ট্রেন। যাতায়াতের মাঝেই প্ল্যাটফর্ম দখল করে থাকা ভিড়ে ঠাসা বাজার রেলযাত্রীদের জন্য রীতিমতো অসুবিধে সৃষ্টি করে থাকে। আবার কোনও দ্রব্য একটু সরাতে বললে মনক্ষুন্ন হন দোকানদাররা। যাত্রীরা স্বাভাবিক ভাবে যাতায়াত করতে পারেন না। যে কোনও সময় ঘটতে পারে যে কোনও বড় দুর্ঘটনাও। টিকিট কেটে রেলে যাতায়াত করলেও নিয়মিত হয়রানির শিকার হতে হয় রেলযাত্রীদের। এ বিষয়ে রেলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।