• জমি নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়নি, রাগে সরকারি শৌচালয় দখল করল পরিবার...
    আজকাল | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন দপ্তরের টাকায় সুলভ শৌচালয় তৈরি করা হয়েছিল। সেই শৌচালয় দখল করে স্থানীয় এক পরিবার বেমালুম সংসার পেতে বসেছে। ফলে বাজারে ব্যবসায়ীরা তা আর ব্যবহার করতে পারছেন না। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের দণ্ডিরহাট বাজারের ঘটনা। শৌচালয় দখলমুক্ত করতে ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

    ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে সীমান্ত উন্নয়ন দপ্তরের কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে দণ্ডিরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের ব্যবহারের জন্য একটি শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছিল। লকডাউনের সময় বাজার বন্ধ থাকায় ওই শৌচালয় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় একটি পরিবার ওই শৌচালয়‌ দখল করে নেয়। রীতিমতো সেখানে তারা বসবাস শুরু করে। শোয়ার ঘর থেকে রান্নাঘর সবকিছুই ওই শৌচালয়ের মধ্যে সাজানো হয়েছে। লকডাউন শেষে ব্যবসা স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে বাজারের ব্যবসায়ীরা আর ওই শৌচালয় ব্যবহার করতে পারছেন না। বাজার কমিটি ওই পরিবারকে শৌচালয় ছেড়ে দেওয়ার কথা বার কয়েক জানিয়েছে। তাতে অবশ্য জবরদখলকারী পরিবার কর্ণপাত করেনি। অবশেষে বাজার কমিটি সরকারি ওই শৌচালয় দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে। তারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছে। 

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং বাজার কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা কওসর মণ্ডল বলেন, 'ব্যবসায়ীদের ব্যবহারের জন্য সীমান্ত উন্নয়ন দপ্তর থেকে কয়েক বছর আগে সুলভ ওই শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থানীয় একটি পরিবার গায়ের জোরে সেই শৌচালয় দখল করে রেখেছে। শৌচালয়ের সামনে তারা ছাউনি তৈরি করেছে। শৌচালয় ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওই পরিবারকে কয়েকবার বলা হয়েছে। কিন্তু তাতে তারা গুরুত্ব দেয়নি। আমরা পুলিশকে ওই শৌচালয় দখলমুক্ত করার কথা বলেছি।' 

    সরকারি সম্পত্তি জবরদখলকারী সাবির সরদারের দাবি, 'শৌচালয় নির্মাণ করার জন্য আমরা জমি দান করেছিলাম। শৌচালয় নির্মাণের পর পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও শর্তই সরকার পূরণ করেনি। আমিও ওই শৌচালয় ছাড়ব না।' 

    ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে জমিতে ওই শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে, তা ব্যক্তিগত মালিকাধীন জমি নয়। পূর্ত দপ্তরের। সাবির সরদার যে দাবি করছে, তা সত্যি নয়। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়ে সাবির অবশ্য শেষপর্যন্ত স্বীকার করে নেয়, জমিটি পূর্ত দপ্তরেরই। তাদের দখলে ছিল।
  • Link to this news (আজকাল)