এ দিকে, রিজেন্ট কলোনির যে ফ্ল্যাটে খাতেজা বিবি নামে ওই মহিলাকে খুন করা হয়, সোমবার সেখানে যান লালবাজারের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। ঘটনাস্থলের দেওয়ালের রক্ত ঢাকতে কিছুটা অংশ প্লাস্টার অব প্যারিস করে দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। দু’টি আলাদা জায়গা থেকে মহিলার দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। দেহাংশগুলি খাতেজারই কি না, তা জানতে সেগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
গত শুক্রবার গল্ফ গ্রিনের গ্রাহাম রোড থেকে কাটা মুণ্ড উদ্ধার-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই আতিউরকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে লালবাজার। তাকে জেকা করে পুলিশ জানতে পারে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে থেকে সাড়ে ৩টের মধ্যে খুন করা হয়েছিল খাতেজাকে। জেরায় ধৃত জানিয়েছে, সে দিন টালিগঞ্জের মালঞ্চের কাছে একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে গিয়েছিলেন খাতেজা। কাজ শেষ হলে তাঁকে মালঞ্চ সিনেমার সামনে ডাকে আতিউর। সেখানে দু’জনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এর পরে বিকেলে খাতেজাকে জোর করে ওই ফ্ল্যাটে ডেকে আনে অভিযুক্ত। সেখানে দু’জনের ফের এক প্রস্ত বচসা হয়। বচসা চলাকালীন ওই মহিলাকে ধরে প্রথমে দেওয়ালে ধাক্কা দেয় আতিউর। দেওয়ালে মাথা ঠুকে খাতেজা অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে অভিযুক্ত। মৃত্যু নিশ্চিত করার ঘণ্টাখানেক পরে তাঁর দেহ টুকরো করা শুরু করে সে। এর পরে দেহের টুকরো বস্তায় ভরে, রক্ত ধুতে গোটা ঘর জল দিয়ে ধুয়েছিল আতিউর। লালবাজারের এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে তদন্তে উঠে এসেছে, একাই গোটা ঘটনা ঘটিয়েছিল অভিযুক্ত। তবে শুধুই সম্পর্কের টানাপড়েন, না কি এর পিছনে আর কোনও কারণ ছিল, তা দেখা হচ্ছে।’’