মহিলাদের অপমান করার অভিযোগ উঠল বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউয়ের বিরুদ্ধে। তাঁর নামে কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (যার সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময় অনলাইন’)। সেখানে মহিলাদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে দেখা যায় বিক্রমজিৎকে। আর তা নিয়েই রীতিমতো বিতর্কের ঢেউ উঠেছে। আক্রমণে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। যদিও বিক্রমজিৎ জানিয়েছেন, এই চ্যাটগুলি ভুয়ো। আইনি পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন তিনি।
কী চ্যাট ভাইরাল হয়েছে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু স্ক্রিনশট ঘোরাঘুরি করছে যেখানে দেখা যায় বিক্রমজিৎ বলছেন, ‘মেয়েদের নিয়ে আয় আড্ডা দেব।’ সঙ্গে আরও কিছু বক্তব্যের সংযোজন দেখা গিয়েছে, যা মহিলাদের জন্য অসম্মানজনক। আর এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল হতেই জেলায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি দীপক দাস বলেন, ‘এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। মহিলাদের নিয়ে কটূক্ত করার আগে দু’বার ভাবে না।’ তিনি বিক্রমজিতের পাশাপাশি সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ককেও কটাক্ষ করেন।
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিক্রমজিৎ। তিনি বলেন, ‘আমি মহিলাদের অপমান করার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারি না। দলের অপমান হয় এমন কোনও কাজ আমি করি না। কেউ যদি আমার নাম খারাপ করে ভুয়ো চ্যাট তৈরি করে ভাইরাল করে তার জন্য আমি দায়ী নই। আইনত যা পদক্ষেপ করার করব।’
অন্যদিকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি প্রীতম দাস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প চালু করেছেন। সবসময় নেতৃত্বের দিক থেকেও আমাদের দলে মহিলাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে দলের কেউ এই ধরনের মন্তব্য করলে তা কোনওদিন বাঞ্ছনীয় নয়। জেলার ছাত্র পরিষদের বর্তমান সভাপতিকে ২০২১ সালে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আশা করি বিক্রমজিৎ সেই মর্যাদা রাখবে।’ ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন এক মহিলা, জানিয়েছেন প্রীতম।