• বারাসত কলেজের সামনে এসএফআই-টিএমসিপির ধুন্ধুমার
    এই সময় | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের মিছিল। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার তুমুল উত্তেজনা ছড়াল বারাসত কলেজের সামনে। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে, ‘জাস্টিস মার্চ’-এর ডাক দিয়েছিল এসএফআই। অভিযোগ, এ দিনের মিছিল বারাসত কলেজের সামনে আসতেই কলেজের ভিতরে থাকা টিএমসিপির সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এসএফআইয়ের। মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ছাত্রদের কর্মসূচি ঘিরে এমন পরিস্থিতিতে হতবাক হয়ে যান তাঁরা। প্রাণভয়ে ছুটতে থাকেন লোকজন। দু’পক্ষই একে অন্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। এক জন পুলিশও আক্রান্ত হন বলে খবর।

    আরজিকরের ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি হাত মিলিয়ে বিচারের নামে প্রহসন করছে বলে অভিযোগ এসএফআইয়ের। তারই প্রতিবাদে দু’দিনের এই মিছিল তাদের। এসএফআইয়ের অভিযোগ, তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের তরফে তাদের পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। যদিও পাল্টা টিএমসিপির দাবি, কলেজে পরীক্ষা চলছিল। তার মধ্যে পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছিল। এতে পরীক্ষার্থীরা ভয় পেয়ে যান।

    খবর পেয়ে বারাসত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশের সামনেই বিক্ষোভ দেখানো হয়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা এসএফআই-এর সাধারণ সম্পাদক আকাশ কর জানান, ‘এ বাজারে তৃণমূল যদি আক্রান্ত হচ্ছে বলে, তা তো লজ্জার। ওরাই আমাদের একজন ছেলেকে মেরে চোখের নীচে ফাটিয়ে দিয়েছে। পুলিশকে পর্যন্ত ওরা ইট মেরেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ তো জানত এই কর্মসূচি নিয়ে।তার পরেও এই অশান্তি হলো।’

    এসএফআই নেতা দীপ্তজিৎ দাসের কথায়, জেলার তিনটে কলেজ হয়ে বারাসত সান্ধ্য কলেজের সামনে মিছিল আসার পর, পড়ুয়ারা মিছিল দেখছিলেন। তৃণমূলের লোকজন এসে তখন তাঁদের পতাকা ছিঁড়ে দেয়।

    পাল্টা রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য লিঙ্কন মল্লিকের বক্তব্য, ‘কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন একটা উচ্ছৃঙ্খল দল এ সব করল। গত তিন মাস ধরে ‘আমি সোমা বলছি’ থেকে দেড়শো গ্রাম, অনেক কিছুই শোনালো। এত দিন মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। আজ এসেছিল পরীক্ষা চলাকালীন কলেজ গেটে লাথি মেরে গেট ভাঙার চেষ্টা করে। পতাকা ছেঁড়ার কথা একেবারেই মিথ্যা।’

    এই ঘটনা ঘিরে চাঁপাডালি আয়কর মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে এসএফআই। প্রায় ২০ মিনিট অবরোধ চলে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা উঠে যায়।

  • Link to this news (এই সময়)