জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'কেন্দ্রীয় সরকার কথা রাখেনি'। এ রাজ্যে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, আবাস যোজনায় বাংলার এক নম্বরে ছিল। তাও সত্ত্বেও টাকাটা দেওয়া হয়নি। ৩ বছর ধরে বাংলার গরীব মানুষগুলি বঞ্চিত হচ্ছে'।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আজ ঐতিহাসিক দিন। রাজ্য সরকার সীমিত ক্ষমতা সত্ত্বেও, সম্পূর্ণ নিজস্ব টাকায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পে রাজ্য়ের ২১ জেলায় ১২ লক্ষ যোগ্য় পরিবারকে বাড়ি তৈরির জন্য় প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা করে তুলে দেবে। টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের অ্য়াকাউন্টে চলে যেতে শুরু করেছে। ৬০ হাজার করে দু'বার, ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। খরচ হবে ১৪ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের একটাই উদ্দেশ্য গবীর মানুষকে আশ্রয় দেওয়া'।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ধাঁচে এবার বাংলা আবাস যোজনা। নাম, 'বাংলার বাড়ি'। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে তুলে নয়া প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কবে? আজ, মঙ্গলবার। মমতা বলেন, আমরা কথা দিলে কথা রাখি। যদি কিছুটাও মানুষের সাহায়্য হয়, আশ্রয় হয় সেজন্যই। কেন্দ্রীয় সরকার কথা রাখেনি, গত তিন বছর ধরে আবাস যোজনার টাকা দেয় না। একশোর দিনের কাজের টাকাও প্রায় ৫৯ লক্ষ লোককে আমরা টাকা দিয়েছি। প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা। আমরা ইতিমধ্য়েই ৪৫ লক্ষ ৬৯ হাজারের মতো বাড়ি আমরা করেছি। পাকাবাড়ি, যেটা মাটির ছিল। আরও ৪০ লক্ষ পড়েছিল। আবাস যোজনায় বাংলার এক নম্বরে ছিল। তাও সত্ত্বেও টাকাটা দেওয়া হয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেছিলাম, যে ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখের পর আমরা টাকাটা ছাড়ব। ১১ লক্ষ বাড়ি। কিন্তু তারপরেও কিছু ঝড়-জল, সাইক্লোন, দানা হয়ে গিয়েছে। তাদেরও আমরা ঢুকিয়ে, ফলে ১২ লক্ষ বাড়ি হয়েছে'।
এদিকে আবাসের টাকা বিলি আগে যখন স্কুটিনি চলছিল, তখন তালিকা গড়মিলের অভিযোগ ওঠে। জেলায় জেলায় চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, আবাসের তালিকা থেকে বেশ কিছু নাম বাদ পড়েছে, তেমনি বাড়ি রয়েছে, এমন অনেকেও নাম রয়েছে তালিকা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'উপভোক্তাদের সঠিকভাবে বাছার জন্য রাজ্য জুড়ে আমরা আবার সার্ভে করেছি। প্রায় ৩৬ লক্ষ সার্ভে করা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। ১১ লক্ষ বোধহয় প্রথম তালিকায় ছিল। আবার সার্ভে করেছি। ২৭ হাজারের বেশি টিম ৩৫ লক্ষ লোকের বাড়িতে গিয়েছে। খসড়া তালিকা প্রকাশ করে, দাবি ও আপত্তি যদি থাকে, সেটা দেখা হয়েছে। সেটা দেখতে গিয়ে আমরা দেখেছি, ২৮ লক্ষ বেশি যোগ্য উপভোক্তাকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। এদের মধ্যে ১২ লক্ষ দিয়ে দিচ্ছি'।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্র যদি না দেয়, বাকি থাকবে ১৬ লক্ষ, তাহলে আমরা দুটো কিস্তিতে আগামী ৬ মাস, তার পরের ৬ মাস, ছাব্বিশের প্রথম দিকের মধ্যেই দিয়ে দেব। মে-জুনে দিয়ে দেব আট লক্ষ, আবার ডিসেম্বর জানুয়ারির মধ্যে দিয়ে দেব আরও আট লক্ষকে'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)