প্রবীর চক্রবর্তী: মঙ্গলবারই রাজ্যের বাংলার বাড়ি প্রকল্পের যাত্রা শুরু। বিকেলে নবান্ন সভাঘর থেকে সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে। প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে টাকা দেওয়া হবে। বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকবে। প্রথম পর্যায়ে প্রত্যেককে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। রপর ধাপে ধাপে ৪০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
কেন্দ্র আবাসের টাকা দিচ্ছে না, অভিযোগ রাজ্যের। তালিকায় গড়মিলের অভিযোগে টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্র। এই নিয়ে রাজনৈতিকভাবে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। বঞ্চনার অভিযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে আন্দোলনও করেছে তৃণমূলর। পরে রেড রোডে ধরনায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় এবং ঘোষণা করেন ২১ ডিসেম্বরর মধ্যে রাজ্য় টাকা দেবে। তাই রাজ্যের তহবিল থেকেই পাকা বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হবে।
মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে প্রত্যেক পরিবারকে। অনেক বেশি সতর্ক হয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার। যাতে একজনের টাকা কোনওভাবেই অন্যজনের অ্যাকাউন্টে না যায়। এমনকী এক ব্যক্তি দু’বার করে যেন বাংলার বাড়ির টাকা না পান। তাই এবার বিডিওদেরই টাকা ছাড়তে উপভোক্তাদের নামের বিল ট্রেজারিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারদের যারা গৃহহীন, কিংবা কাঁচা মাটির বাড়িতে বসবাস করেন, তাদের পাকা বাড়ি তৈরির জন্য বাংলা আবাস যোজনার মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। আগামী কয়েকদিন পর্যায়ক্রমে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে।