রাজ্যের ১২ লক্ষ প্রান্তিক মানুষের অ্যাকাউন্টে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। সম্প্রতি পঞ্চায়েত দফতর মুখ্যমন্ত্রীকে এই সুবিধা প্রদানের সূচনা করার জন্য আর্জি জানিয়েছিল। সেই মতো মঙ্গলবার ২১টি জেলা থেকে মোট ৪২ জন উপভোক্তার হাতে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মোট এক লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তিতে একজন উপভোক্তা পাবেন ৬০ হাজার টাকা। তবে জঙ্গলমহলের কিছু অঞ্চল-সহ অন্যান্য দুর্গম এলাকার উপভোক্তারা এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে পাবেন। আগেই প্রতিটি জেলা প্রশাসন উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে প্রকল্পের সূচনা হওয়ার পরেই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো শুরু করছে নবান্ন। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে উদ্যোক্তাদের অর্থ দিতে জেলাগুলিকে মোট ৬,৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। আগামী কয়েক দিন পর্যায়ক্রমে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে নবান্নের একটি সূত্র। প্রত্যেক উপভোক্তাকে একটি করে শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হিসাব অনুসারে আগামী দেড় বছরে ২৮ লক্ষ গ্রামীণ জনতাকে আবাসের অর্থ পৌঁছে দিতে চায় নবান্ন। তার পরেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে হবে মমতাকে। তাই প্রকল্প মারফত উপভোক্তার কাছে পৌঁছে যেতে চাইছেন মমতা। এই প্রকল্প ছাড়াও কন্যাশ্রী, রূপশ্রী এবং লক্ষ্মীর ভান্ডারের অস্ত্রে নতুন বছরে শান দেওয়ার কাজ শুরু করতে পারেন মমতা। এই উপভোক্তা রাজনীতির উপর ভর করেই ২০১৬ এবং ২০২১ সালে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি মমতা নিজের দখলে রেখেছেন বলে অনেকে মনে করেন। তাই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে আগামী দেড় বছর নিজের জনদরদী ভাবমূর্তি তৈরি করতে এই ধরনের জনমুখী প্রকল্প কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।