২০২২ সালের ১৩ মার্চ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে, আগরপাড়া স্টেশন রোডে স্কুটারে ওঠার সময়ে এক দুষ্কৃতী একেবারে সামনে থেকে অনুপমকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরের। রাতেই এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় অমিত। তদন্তে নেমে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, খুনের সুপারি দিয়েছিলেন সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপি। এমনকি, আগে অন্য এক দুষ্কৃতীকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে কাজটি না করায় পুরভোটের পরেই অমিতকে কাজে লাগান বাপি। পুলিশ বাপিকেও গ্রেফতার করে।
পরে দুই অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন তদন্তকারীরা। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, অনুপমকে খুন করার সময় আততায়ীরা একটি নয় দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিল। সেই সূত্র ধরে স্থানীয় একটি হোগলাবন থেকে দুটো আগ্নেয়াস্ত্রই উদ্ধার করে পুলিশ। সেই দু’টি পিস্তলের মধ্যে একটি দিয়ে গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই অস্ত্রের বিষয়টি মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়। আর দ্বিতীয় অস্ত্রটির জন্য খড়দহ থানার পুলিশ আলাদা করে অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
মঙ্গলবার সেই মামলায় রায় দেন ব্যারাকপুর কোর্টের ফাস্ট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এই আদালতের স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) সত্যব্রত দাস জানান, অভিযুক্ত অমিত গ্রেফতারের পর থেকে জেলেই রয়েছেন। এমনকি, জামিনেও মুক্তি পাননি। সেই সব দিক বিবেচনা করেই বুধবার শাস্তি ঘোষণা করেন বিচারক।