সোমবার ব্লক করে দেওয়া আইডি খোলা, ভাড়ার সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরি-সহ পাওনা আদায়ের দাবিতে সরব হয়েছিল তারা। মৌখিক ভাবে অভিযোগ পাঠানোর পাশাপাশি একটি লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন অ্যাপ ক্যাব চালকদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁদের সব কথা শোনার পর আগামী শুক্রবার সংগঠনের প্রতিনিধিরা ফের ওই ক্যাব সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানানো হয়েছে। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কী এমন হল যে, ৫০০০ পরিষেবা দেওয়ার পর এত জন চালকের আইডি ব্লক করা হল? যদি এমন করা হয়, ট্যাক্সিচালকেরা অ্যাপ ক্যাব চালাতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন, ফলে বেসরকারি পরিবহণ শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা ব্যাহত হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কোনও অপরাধীকে সাজা ঘোষণার আগে তার শাস্তির কারণ জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অ্যাপ ক্যাব চালকেরা এমন কী অপরাধ করেছেন, যাতে তাদের ন্যূনতম কথা বলার সুযোগটুকুও দেওয়া হবে না? আসলে এই পদ্ধতিতে গলদ রয়েছে বলেই আমরা মনে করি। কারণ, ৫-৬ বছর ধরে অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা দেওয়া চালকদেরও আইডি ব্লক করা হয়েছে। আমরা আমাদের দাবিপত্রের সে কথার উল্লেখ করে দিয়েছি।’’
ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা এক অ্যাপ ক্যাব চালকের প্রশ্ন, ‘‘গাড়ি চালকদের ওপর নিদারুণ অত্যাচার চলছে। কোনও রকম আলোচনা বা শুনানি ছাড়াই ১৭৩ জন চালকের আইডি ব্লক করা হয়েছে। ফলে ওই পরিবারগুলির আর্থিক অসহায়তা বাড়ছে। এ ভাবে চললে, আমার মতো অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়বেন।’’ অন্য দিকে, বেসরকারি ক্যাব সংস্থার কাছে ভাড়ার একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে। সেই তালিকায় নির্দিষ্ট দূরত্বের ভাড়া, কমিশন, ওয়েটিং চার্জ-সহ অ্যাপ ক্যাবচালকদের সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই সব প্রক্রিয়া সংযোজিত হলে যাত্রী এবং চালকদের পক্ষে নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য সম্ভাব্য ভাড়ার একটি আগাম ধারণা পাওয়াও সম্ভব হবে।