হিমাচল প্রদেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন একাই। ঘুরতে গিয়ে মৃত্যু হল শ্রীরামপুরের যুবকের। জানা গিয়েছে, বছর ৪৪-এর অভিজিৎ দত্ত কয়েক দিন আগে সোলো ট্রিপে হিমাচল যান। সোমবার বাড়িতে খবর আসে, চেল এলাকা থেকে অভিজিৎকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার। কী ভাবে কী হলো, তা এখনও বুঝেই উঠতে পারছেন না। কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই তাঁরা।
শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা জানান, সোমবার তাঁদের কাছে খবর আসে, রবিবার চেল নামে একটি এলাকায় অভিজিৎকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় জুঙ্গা এলাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে সিমলার ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
শ্রীরামপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা এলাকায় বৃদ্ধ মা ও মামাকে নিয়ে থাকতেন অভিজিৎ।এর আগে শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন কুমিরজলা রোডে থাকতেন তাঁরা। অভিজিৎ শ্রীরামপুর পুরসভার কর বিভাগের কর্মী ছিলেন। তাঁর বাবাও এই পুরসভায় কাজ করতেন।
পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা জানান, তাঁদের তরফে হিমাচল প্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানকার পুলিশ জানিয়েছে, অভিজিৎকে যখন উদ্ধার করা হয়, অচৈতন্য ছিলেন। ফলে তাঁর কোনও বয়ান পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, অভিজিতের মোবাইল ফোনটি লক থাকায়, সেই ফোন থেকে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পরে সিম কার্ডটি কাজে লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। শ্রীরামপুর থানার মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিমাচল প্রদেশ পুলিশ।
সূত্রের খবর, ফোনের মাধ্যমেই পরিবারের তরফে দেহটি শনাক্ত করা হয়। অভিজিতের এক বন্ধু জানান, গত ১২ ডিসেম্বর সিমলা বেড়াতে যান অভিজিৎ। এর পরই এই ঘটনা। সিমলা থানা থেকেই ফোন করে খবর দেওয়া হয়। পরে বন্ধুরা সকলে মিলে পুরসভা ও থানায় যোগাযোগ করেন। বুধবার মৃতদেহ আনতে রওনা দেবে অভিজিতের পরিবারের লোকজন।