‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের শুভ সূচনা, ৪২ জনের হাতে অনুমোদন পত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
আজকাল | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক : মঙ্গলবার থেকে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় বাড়ি তৈরির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। পরের কিস্তিতে আরও ৬০ হাজার, মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । এদিন নবান্ন সভাঘরে প্রতীকী হিসেবে ৪২ জন সুবিধাভোগীর হাতে চেক ও স্মারকপত্র তুলে দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতেই আমার এই জীবন উৎসর্গীকৃত। আজ এক ঐতিহাসিক দিন। আজ নবান্ন সভাঘর থেকে গ্রামবাংলার মানুষের হিতার্থে, রাজ্য সরকারের সহায়তায় ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের শুভ সূচনা করা হল। ১২ লক্ষ যোগ্য পরিবারের হাতে বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০,০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হল সরাসরি ব্যাঙ্ক মাধ্যমে। এই টাকা সদ্ব্যবহার হলে পরবর্তী কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে অর্থাৎ মোট ১,২০,০০০ টাকা প্রতি পরিবার পাবেন।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের একটাই উদ্দেশ্য, গরিব মানুষকে আশ্রয় দেওয়া। আমরা রাজ্য জুড়ে, সরকারি আধিকারিক এবং প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতায় স্বচ্ছভাবে সমীক্ষা চালিয়ে এই প্রকল্পের সকল যোগ্য উপভোক্তার তালিকা তৈরি করেছি।
তিনি আরও যোগ করে বলেন, সরকারি কর্মীদের নিয়ে তৈরি প্রায় ২৮ হাজার দল এই পুরো সমীক্ষার কাজ করেছে। প্রাথমিক পর্বে সমীক্ষার পর ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের দ্বারা তাকে পুনরায় যাচাই করা হয়েছে, পুলিশকে দিয়েও যাচাই করা হয়েছে। তারপর সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আপত্তি গ্রহণ করার জন্য তাকে বিভিন্ন নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে গৃহীত দাবি ও আপত্তিগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর পাশাপাশি গ্রামসভাতে সবার উপস্থিতিতে এই তালিকার সম্পূর্ণ পর্যালোচনা করা হয়েছে। তারপর ব্লক স্তরের ও জেলা স্তরের দায়িত্বশীল কমিটির মাধ্যমে তার অনুমোদনের পর্ব সম্পন্ন করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়ে মুখমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিগত তিন বছর ধরে রাজ্যের গরিব মানুষকে বঞ্চিত করেছে তাঁদের হকের পাওনা থেকে। আমরা ভিক্ষে নয় ন্যায্য অধিকার চাই। আমরা - মা-মাটি-মানুষের সরকার - কথা দিয়ে কথা রাখি - এটাই তার প্রমাণ। এর পাশাপাশি, আজ ২১টি জেলা থেকে মোট ২ জন করে মোট ৪২ জনের হাতে অনুমোদন পত্র তুলে দিলাম।
এই দফায় মোট ১২ লক্ষ পরিবারকে এই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এরপরেও প্রায় ১৬ লক্ষ যোগ্য পরিবার থেকে যাবেন। এই ১৬ লক্ষ পরিবারকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সহায়তা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে ৮ লক্ষ পরিবারকে আগামী মে মাসের মধ্যে এবং অবশিষ্ট ৮ লক্ষ পরিবারকে ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে এই সহায়তা দেওয়া হবে।