পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম অভিজিৎ যশ এবং ছবি যশ। ভাতার থানার রবীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। দম্পতির কোনও সন্তান নেই। মাত্র দু’জনেই থাকতেন বাড়িতে। গত শুক্রবার ছবি তাঁর বোনের সঙ্গে মোবাইলে কথাবার্তা বলেছিলেন। তার পর থেকে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বৃদ্ধ দম্পতির। মঙ্গলবার সকালে ছবির ছোট বোনের এক নাতি ওই বাড়িতে এসেছিলেন বৃদ্ধ দম্পতির খোঁজ নিতে। কিন্তু বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে তিনি দেখেন দরজায় তালা দেওয়া। তাঁর সন্দেহ হয়। পরিচিতদের কাছে খোঁজখবর করার পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ গিয়ে তালা ভাঙে। তার পরেই চমক।
ঘরে ঢুকে দেখা যায় রান্নাঘরের মেঝেতে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে খবর। দেহের পাশে একটি বালিশ পড়ে ছিল। আর শোয়ার ঘরের মেঝে থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধার স্বামীর দেহ। ওই ঘরে থাকা আলমারিটি ভাঙা অবস্থায় ছিল। পুরো ঘর ছিল লন্ডভন্ড। এমনটা জানাচ্ছেন দম্পতির আত্মীয়েরা। তাঁদের অনুমান, সম্পত্তির লোভে ওই দম্পতিকে পরিকল্পনামাফিক কেউ বা কারা খুন করেছেন। খুন এবং ঘর লুটপাটের পর সদর দরজা এবং মূল দরজায় একটি নতুন তালা লাগিয়ে দিয়ে যান আততায়ীরা।
এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবে আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা। তবে তাঁরা বৃদ্ধ দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তেমন কিছুই বলতে পারেননি। এ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, ‘‘দু’জন খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। তাঁদের বাড়ি বাইরে থেকে তালাবন্ধ ছিল। কিন্তু ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে রয়েছে।’’ তিনি এ-ও জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, দম্পতিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বাকি তথ্য জানা যাবে।