• বন্ধ হাসপাতালের এক্সরে ইউনিট, ভোগান্তিতে রোগীরা
    এই সময় | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময় জলপাইগুড়ি: গত দু’দিন থেকে বন্ধ হয়ে আছে জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধীনে থাকা সদর হাসপাতালের এক্সরে ইউনিট। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। বাধ্য হয়ে রোগীদের যেতে হচ্ছে চার কিলোমিটার দূরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক্সরে ইউনিটে। অথবা বেসরকারি ক্লিনিকে।

    বেশ কয়েক বছর আগে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া বিভাগের নীচের একটি ঘরে পিপিপি মডেলে ডিজিটাল এক্সরে ইউনিট চালু করা হয়। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ইউনিট চালু করায় উপকৃত হচ্ছিলেন রোগীরা। তবে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জেলা হাসপাতালের অধিকাংশ বিভাগ চলে যাওয়া এবং সেখানেও একটি এক্সরে ইউনিট চালু করায় জেলা হাসপাতালের ইউনিটে এক্সরে করার পরিমাণ কিছুটা কমেছে। কিন্তু তার পরেও দৈনিক এই ইউনিট থেকে ১০০ থেকে ১২০ জন রোগী এক্সরে পরিষেবা পেয়ে থাকেন।

    এ দিন শিশু রোগের আউটডোরে এক্সরে করাতে শিশুকন্যাকে ইউনিটের বাইরে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজগঞ্জ থেকে আসা রবি রায়। তিনি বলেন, ‘ইউনিটের দরজা বন্ধ। অনেকটা,সময় দাঁড়িয়ে থেকে পরে জানতে পারি মেশিন খারাপ, তাই ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে।’

    ইউনিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত শনিবার মেসিন খারাপ হয়। তার পর থেকে শতাধিক রোগীকে তারা ঘুরিয়ে দিয়েছেন। সদর হাসপাতালের এক্সরে মেসিন খারাপ হওয়ায় চাপ বেড়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ইউনিটে। যদিও সেখানে সমস্তরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান, জলপাইগুড়ি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমএসভিপি কল্যাণ খাঁ বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিষয়টি স্বাস্থ ভবনে জানানো হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এক্সরে মেসিন ঠিক করার জন্য লোক পাঠানো হবে সেই বিষয়ে সঠিক ভাবে কিছু বলা হয়নি।’

  • Link to this news (এই সময়)