• বহরমপুরের বিষ্ণুপুর কালীমন্দিরে এক মাসব্যাপী পুজো ও মেলা শুরু
    বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: পৌষ মাসের শুরু থেকেই বহরমপুরের ঐতিহ্যবাহী বিষ্ণুপুর কালীমন্দিরে মানুষের ভিড়। মঙ্গলবার ভোর থেকেই মানুষ লাইন দিয়ে পুজো দিতে থাকেন। পৌষ মাসে এই মন্দিরে ঘটা করে মা কালীর পুজো হয়। প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই পুজো হচ্ছে। পুজো উপলক্ষ্যে যে মেলা বসে, তাও অত্যন্ত প্রাচীন। প্রতিবছর পৌষ মাসের শুরু থেকে পৌষ সংক্রান্তি পর্যন্ত এক মাস ধরে এই মেলা চলে। আগে শুধু শনি ও মঙ্গলবারে মেলা হতো। এক সময়ে এই মন্দিরের পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে বাঘের উপদ্রব ছিল। সেই আতঙ্কে দূর থেকে আগত পুণ্যার্থী সন্ধের আগেই মন্দির প্রাঙ্গণ ছাড়তেন। আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে সেই সময়ের কথা। 


    বিষ্ণুপুর কালী মন্দিরের সেবাইত বীতশোক পান্ডে বলেন, পয়লা পৌষ থেকে মেলা শুরু হল। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে মায়ের কাছে আসেন মানুষ। এদিন ভোর পাঁচটা থেকে মায়ের পুজো শুরু হয়েছে। পৌষ মাস মায়ের আবির্ভাব মাস। সেই উপলক্ষ্যে প্রতিবছর পুজোর আয়োজন করা হয়। সেই উপলক্ষ্যেই দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন বলে এখানে মেলাও বসে। এবার একশোর বেশি স্টল হয়েছে এই মেলায়।


    তিনি আরও বলেন, বরাবরই প্রথম দিন বেশি ভিড় হয়। এদিন ভোর থেকে প্রধানত শহরের মানুষ পুজো দেওয়ার জন্য বেশি ভিড় জমিয়েছিলেন। মা অত্যন্ত জাগ্রত বলেই এখানে মানুষ ভিড় করেন। সকলের মনস্কামনা পূরণ করেন মা। পাশাপশি সুষ্ঠুভাবে পুজো দিতে পারেন সকলে। মায়ের আশীর্বাদ সকলের উপর যাতে থাকে সেই কামনায় এদিন প্রথম পুজো হল। এদিনই প্রায় ৮ হাজার মানুষ এখানে পুজো দিয়েছেন। এক সময় বাঘের উপদ্রবে মানুষ বিকেলের পর এলাকা ছেড়ে চলে যেতেন। এখন অনেক রাত পর্যন্ত জাঁকজমক সহকারে মেলা চলে। স্থানীয় বাসিন্দা অরূপচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আজ থেকে দশ বছর আগে যে ভিড় হতো, তার তুলনায় এখন অনেক বেশি ভিড় হয়। স্থানীয় দোকানে ভালো ব্যবসা হয়। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এই মেলায় স্টল দেন। তাঁদের ভালো বিক্রি হয়। মেলায় স্টল দেওয়া ভবতোষ মল্লিক বলেন, গত তিন বছর ধরে এই মেলায় পসরা সাজিয়ে বসছি। প্রতিবারই ভালো বিক্রি হয়। জেলায় অনেকগুলো মেলা হয়। কিন্তু আমরা এই কালীবাড়ির মেলাতেই আসি।  
  • Link to this news (বর্তমান)