নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: তারিখের পর তারিখ বাড়িয়ে চলেছে গেরুয়া শিবির। তারপরেও সদস্য সংগ্রহের টার্গেট পূরণ হচ্ছে না। এনিয়ে মহা ফাঁপরে পড়েছে বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সদস্য সংগ্রহের সময়সীমা প্রথমে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ছিল। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। তাতেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয় বিজেপি নেতৃত্বকে। তাও নতুন সদস্য লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক কম। তাই আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে সময়। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে চাইছেন নেতারা। কিন্তু, তারপরেও লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো যাবে কি না সন্দিহান অনেকেই। কারণ, আগামী চারদিনে এখনও ২০ হাজার সদস্য তৈরি করতে হবে বিজেপি নেতাদের।
বিজেপি সূত্রে খবর, বহরমপুর সাংগঠনিক জেলায় অনলাইনে এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার সদস্য সংগ্রহ করতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব। অফলাইনে ৩০ হাজারের মতো সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। এক লক্ষ টার্গেট থাকলেও ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছতে পারবে না বলেই মনে করছে নেতারা। কিছুদিন আগে সদস্য সংগ্রহ করতে এসেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাড়ার সরু গলির মধ্যে ঢুকে ক্যাম্প করে তিনি বেশকিছু সদস্য সংগ্রহ করেন। তারপর থেকে নেতারা আপ্রাণ চেষ্টা করে গেলেও মানুষের খুব একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু কিছু মণ্ডলে নেতারা এখনও ৫০টি সদস্য সংগ্রহ করতে পারেনি। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নিজেদের মান বাঁচাতে মরিয়া হয়েও সদস্য না পেয়ে মহা ফাঁপরে পড়েছেন জেলা বিজেপির নেতারা।
বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, অনেক মানুষ নতুন সদস্যপদ গ্রহণ করেছে। তারা বিজেপির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। সংখ্যালঘু প্রধান এই জেলায় আমরা রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছি। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবার সময় সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে আমার মনে হচ্ছে এই মাসটা পুরোটাই সদস্য সংগ্রহের জন্য সময় দেবে আমাদের।
বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লাল্টু দাস বলেন, আমরা অনলাইনে ৫০ হাজারের মতো সদস্য সংগ্রহ করতে পেরেছি। আর অফলাইনে ৩০ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। তবে এক লক্ষ সদস্যপদ সংগ্রহ হতে এখনও সময় লাগবে। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এখন দেখা যাক কী হয়।
তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, বিজেপি পার্টি বলে এখানে কিছু নেই। কয়েকজন নেতা আছে, তারা গাড়ি নিয়ে ঘোরে। গাড়িতে বড় বড় বোর্ড লাগিয়ে মানুষকে জানান দেয়, তারা বাজারে টিকে আছে। মানুষের সঙ্গে কোনও জনসংযোগ নেই। তাই ওই পার্টির কে সদস্যপদ গ্রহণ করবে? দিনের পর দিন সময় বাড়ালেও ওদের নতুন সদস্য খুব একটা বাড়বে না।