সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: মঙ্গলবার ভরসন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ার জেলা শহরের নিষিদ্ধপল্লিতে শ্যুটআউট। এক যুবক ওই এলাকার এক মহিলাকে লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চালিয়ে দেয়। ওই গুলি মাথায় লেগে কৌশল্যা মাহাত (৬০) নামে এক বৃদ্ধার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ওই যুবক এরপর কিছুটা দূরে গিয়ে এক কিশোরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিশ্বরবি দাস নামে ওই কিশোরের পায়ে গুলি লাগে। শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সমাজপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের পিছনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইটখোলা দিয়ে ওই যুবক পালানোর সময় স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে। যুবককে বেধড়ক ধোলাই দেয়। পরে জেলা হাসপাতালে তারও মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আলিপুরদুয়ার শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়েই আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও শ্রীনিবাস এমপি ও আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিস উত্তেজিত জনতার হাত থেকে গুরুতর জখম অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবককে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। জখম কিশোরেরও চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই কিশোরের পায়ে অস্ত্রোপচার করতে হবে। এদিকে, ময়নাতদন্তের জন্য মহিলার দেহটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিস। তবে ঠিক কী কারণে ওই যুবক বৃদ্ধাকে গুলি করল রাত পর্যন্ত তা জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, জনতার বেদম প্রহারে অভিযুক্ত জখম যুবক কথা বলার মতো অবস্থায় ছিল না। পরে সে মারা যায়। ফলে তার পরিচয় রাত পর্যন্ত পুলিস জানতে পারেনি। কী কারণে মহিলাকে গুলি করল তাও জানা যায়নি। ঘটনার পর পুলিস এলাকা থেকে ওই যুবকের ব্যবহার করা পিস্তলটি উদ্ধার করেছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব নয় কেন ওই যুবক এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা সবদিক খতিয়ে দেখছি।