মঙ্গলবার সকাল থেকে মথুরাপুর, লকমা সীমান্ত লাগোয়া পুকুরগুলি মাপজোখ করে ভূমিদপ্তর। আধিকারিকরা দেখেন, অধিকাংশ জমি খনন করার অনুমতি নেওয়া হয়নি। দেখা গিয়েছে, একটি মাত্র আবেদন নিয়ে একাধিক পুকুর খনন করে বালি চুরি করত মাফিয়ারা। কোন জমির মালিকানা কার, সেটা দেখার পর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। এছাড়া একাধিক সরকারি জমিতেও বড় পুকুর খনন করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা। দেখা গিয়েছে, অনুমতি না নিয়ে ২০ শতক আয়তনের পুকুর খনন করা হয়েছে। জমির মালিককে দ্রুত পুকুর ভরাট করতে নোটিস দিয়েছে দপ্তর। না মানলে আইনের পথে হাঁটবে দপ্তর।
হিলি ভূমিদপ্তরের আধিকারিক দীপেশ মল্লিকের কথায়, ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি ২০ শতক জমিতে পুকুর খনন করার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তার বাইরেও অনেক জমি খুঁড়ে বালি তোলা হয়েছে। সেই মালিকদেরও খোঁজ চলছে।
এদিন সকালে ভূমিদপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেও বালি তোলার কাজ চলছিল। অভিযানের আগাম খবর মাফিয়াদের কানে পৌঁছতেই তারা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। ভূমিদপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, অভিযান চালানোর আগে মাফিয়াদের কাছে খবর চলে যাচ্ছে। অফিস থেকে কোন আধিকারিক কখন গাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন, সব খবর মাফিয়াদের নখদর্পণে থাকছে। এই চক্রের পিছনে বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা এক বালি মাফিয়ার হাত রয়েছে বলে ভূমি আধিকারিকরা খোঁজ পেয়েছেন। সেই মাফিয়া জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় অনুমতি না নিয়ে বালি তোলে।