• ভুয়ো কার্ড দিয়ে সামগ্রী আত্মসাৎ! রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
    বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালিয়াচক: ফের ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে খাদ্যসামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ। অভিযুক্ত কালিয়াচক-৩ ব্লকের গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবুরবোনা গ্রামের জনৈক রেশন ডিলার। অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসংখ্য ভুয়ো কার্ড বানিয়ে সরকারি সামগ্রী আত্মসাৎ করছিলেন।  অভিযোগ পেয়েই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহ জেলা খাদ্য নিয়ামক শাশ্বত সুন্দর দাস। তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরেই খাদ্য দপ্তরের অনুমোদিত ডিলার গোলাপগঞ্জের বাবুরবোনার বাসিন্দা সাইফুদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে তাঁর নামে ব্যবসা থাকলেও পুরোটাই দেখাশোনা করেন তাঁর ছেলে শামিম হাসান। মাসখানেক আগে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আবুল কালাম আজাদ নিজের পরিবারের তথ্য অনলাইনে দেখেন। তিনি দেখতে পান তাঁর দুই মেয়ে ছাড়াও আর একজনকেও কন্যা হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাঁর দুই মেয়ের আধার লিংক করা হলেও তৃতীয় জনের ক্ষেত্রে সেটি করা হয়নি। এরপর তিনি বিষয়টি এলাকার কয়েকজন বাসিন্দাকে জানান। তাঁরাও দেখেন পরিবারের অনেকের সঙ্গে কয়েকটি ভুয়ো নামও যুক্ত হয়েছে। এভাবেই ক্রমে বাড়তে থাকে ভুয়ো উপভোক্তার তালিকা। কয়েকজন আবার লিখিতভাবে জেলাশাসক ও খাদ্য নিয়ামকের কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানান। স্থানীয় বাসিন্দা তথা উপভোক্তা আজিজুর রহমানের অভিযোগ, আমাদের বাড়িতে ৯ জন সদস্য রয়েছেন। কিন্তু অনলাইনে দেখছি তার সঙ্গে আরও চারটি নাম রয়েছে। তাদের আমি চিনি না। বিষয়টি জানতে পেরে রেশন ডিলারের কাছে গেলে তিনি কিছুই বলতে চাননি।


    আরেক বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের দাবি, রেশন ডিলার ও তাঁর ছেলে বহুদিন ধরেই অনিয়ম করছেন। প্রায় প্রত্যেক গ্রাহকের পরিবারের সঙ্গেই কিছু কিছু করে ভুয়ো রেশন কার্ড জুড়ে দেওয়া হয়েছে। হিসেব করে দেখেছি এই সংখ্যা বিস্তর। জেলাশাসক ও খাদ্য নিয়ামকের কাছেও এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। 


    যদিও দুর্নীতির বিষয়টি মানতেই চাননি সাইফুদ্দিন আহমেদের ছেলে শামিম। তাঁর দাবি, যে সমস্ত অভিযোগ বাসিন্দারা করছেন, তার সবই ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন এলাকার কিছু মানুষ। কোনওরকম অনিয়মের সঙ্গে আমি যুক্ত নই।
  • Link to this news (বর্তমান)