• আলুর নাবিধসা রুখতে জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে প্রচারে কৃষিদপ্তর
    বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: জলপাইগুড়ি জেলায় আলুর নাবিধসা রোগ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যারজন্য কৃষকদের সর্তকতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলু গবেষণা প্রকল্পের গবেষক আশিস চক্রবর্তী জলপাইগুড়ি জেলার আলু চাষিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এই সময় কি করণীয়, জমিতে ধসা হলে কি ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে, তা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। 


    জলপাইগুড়ি জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কুয়াশা কিংবা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে। রাতে কুয়াশা ও দিনে সূর্যের তেজ থাকায় আলুতে ধসা রোগ দেখা দিতে পারে। আশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে একটি মডেল আছে। যার নাম ইন্দো-ব্লাইটকাস্ট। এই মডেলের সাহায্যে তাঁরা আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকেন। আর সেটার উপর ভিত্তি করেই জানা সম্ভব আলুর নাবিধসা কবে থেকে শুরু হতে পারে। কৃষকদের যেন কোনও ক্ষতি না হয় সেকারণেই তিনি সতর্ক থাকতে বলেছেন। এখনই জলপাইগুড়ি জেলার কৃষকরা ম্যানকোজেব প্রতি লিটার জলে দুই থেকে আড়াই গ্রাম হিসেবে স্প্রে করুন। আলুতে নাবিধসা দেখা দিলে বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে, যেমন ফ্লুওপিকোলাইড ও প্রোপামোকারব হাইড্রোক্লোরাইডের যেকোনও একটি ওষুধ তিন গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে অথবা অ্যামেটকটেরাডিন ও ডাইমিথোমরফ ২ মিলি প্রতি লিটার জলে ঘুলে স্প্রে করতে হবে। এরপর রোগ না কমা পর্যন্ত সাতদিন অন্তর ওই ওষুধ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পর্যায়ক্রমে স্প্রে করতে হবে। 


    জলপাইগুড়ি জেলার কৃষি আধিকারিক গোপালচন্দ্র সাহা বলেন, ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আমরা তৎপর থাকি। আমাদের পক্ষ থেকেও কৃষকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জমিতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। টিম তৈরি আছে। চূড়াভাণ্ডারের আলু চাষি ধনপতি রায় বলেন, জমিতে নজর রাখছি। কৃষিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে অনুরোধ জানাব। 
  • Link to this news (বর্তমান)