বাইপাসে তাদের জায়গা দখলমুক্ত হবে কবে, জানা নেই সেচদপ্তরেরই!
বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বারুইপুর: সরকারি জমি দখল করা যাবে না। কেউ তা করে থাকলে ব্যবস্থা নিতে হবে– এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও নরেন্দ্রপুরের কামালগাছি থেকে বারুইপুরের শাসন পর্যন্ত বাইপাসে আদি গঙ্গার ধারে সেচদপ্তরের জায়গা দখল করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন দখলদাররা। এমনকী নতুন নতুন দোকানও গজিয়ে উঠছে সেখানে। দখলদারদের সরিয়ে দিয়ে ওই জায়গা ঘিরে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সেচদপ্তরের মগরাহাট ড্রেনেজ ডিভিশন। কিন্তু সেই কাজ থমকে গিয়েছে। কবে দখলদারদের সরানো হবে, জানে না সেচদপ্তর। মগরাহাট ড্রেনেজ ডিভিশনের এক অতিরিক্ত বাস্তুকার বলেন, সেচদপ্তরের শীর্ষস্তরের ছাড়পত্র মেলেনি এই কাজে। তাই কাজ কবে হবে, বলা যাচ্ছে না।
সেচদপ্তর সূত্রের খবর, কামালগাছি থেকে বারুইপুরের শাসন পর্যন্ত বাইপাসে আদি গঙ্গার ধারে দখলদারদের সরিয়ে দিয়ে ১৮ কিলোমিটার জায়গা বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল কয়েক মাস আগে। কিন্তু সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে, বারুইপুরের বংশীবটতলা থেকে শাসন পর্যন্ত এলাকায় সেচদপ্তরের জায়গা দখল করে রমরমিয়ে চলছে হোটেল, ব্যাগের দোকান, বাইক মেরামতের দোকান, ফুলের নার্সারি, চায়ের দোকান। কিছু জায়গায় আবার দরমা, বাঁশ তৈরি করে রাখা হয়েছে দোকান নির্মাণের জন্য। কেউ আবার টিনের ছাউনি দিয়ে দোকান করেও ফেলেছেন। আবার পদ্মপুকুর সংলগ্ন এলাকায় আদি গঙ্গার পাড় বুজিয়ে একটি রেস্তরাঁর গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা করা হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, স্থানীয় শাসকদলের নেতাদের মদতেই এদের বাড়বাড়ন্ত। হোটেল, খাওয়ার দোকানের সব নোংরা, আবর্জনা গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে দিনের পর দিন। এতে জলদূষণও হচ্ছে। কিন্তু দখলদারদের সরানোর ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। -নিজস্ব চিত্র