• বিয়ের তত্ত্বের ডালিতে মোয়া, এবার জয়নগরে বাঁকুড়া-হুগলি-কলকাতা থেকে ঢালাও অর্ডার
    বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর: ক্ষীরের বর-বউ, মাছ, বড় বড় সন্দেশ ইত্যাদি দিয়ে বিয়ের তত্ত্বের ডালি সাজানোর রেওয়াজ বাঙালি বাড়িতে। এবার জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর দেখা গেল, বিয়ের কুলীন ডালিতে জায়গা করে নিয়েছে জয়নগরের মোয়াও। এখন গোটা বিশ্বেই নাম করেছে জয়নগরের বহড়ুর মোয়া। এখন তা বাঁকুড়া, হুগলি থেকে শুরু করে হাওড়া, বর্ধমানে পাড়ি দিচ্ছে। সর্বত্র তত্ত্ব সাজাতে চাহিদা বাড়ছে মোয়ার। হু হু করে অর্ডার আসছে দোকানগুলিতে। বেজায় খুশি ব্যবসায়ীরা।


    ঠান্ডা পড়তেই গুড় উঠছে ভালো। ফুরফুরে খই মিলছে। ফলে উৎকৃষ্ট মানের মোয়া তৈরি হচ্ছে সব দোকানে। সবমিলিয়ে সিজন জমজমাট। এর পাশাপাশি বিয়ের মরশুম শুরু হতেই নয়া ইনিংস খেলতে শুরু করেছে দেশজ এই মিষ্টান্নটি। বীণাপানি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কর্তা গণেশ দাস বলেন, ‘একটি ট্রেতে গোটা ১২ মোয়া থাকছে। কিসমিস, কাজু ছড়ানো তাতে। দেখতে অপরূপ করতে গোলাপও দেওয়া হচ্ছে। সূর্যমুখী ফুল বা ড্রাই ফুলও ব্যবহার করছি। বিয়ের তত্ত্বতে দেওয়ার জন্য ভালোই অর্ডার আসছে।’ 


    অন্যান্য দোকানদাররা জানালেন, কলকাতা, বারুইপুর, হাওড়া, বর্ধমান থেকেও আসছে অর্ডার। একটি ডালার দাম পড়ে যাচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা। বহড়ুর শ্যামসুন্দর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কর্তা রঞ্জিত ঘোষ ও বাবলু ঘোষ বলেন, ‘তত্ত্বতে দেওয়ার জন্য মোয়ার চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। এখনই ৩০টি অর্ডার এসেছে। একটি ট্রেতে ১৫টি বড় মোয়া থাকে। ট্রেতে গোলাপ পাতা দিয়ে চারদিক ভরিয়ে দেওয়া হয়। ট্রের দাম পড়ে দেড় হাজার টাকা। বাঁকুড়া ও হুগলিতে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে পাঁচ ট্রে মোয়া। আরও অর্ডার আসছে একাধিক জেলা থেকে।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)