জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভেঙেছেডিভাইডার, প্রায়ই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা
বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: আর কিছুদিন পরেই গঙ্গাসাগর মেলা। এই মেলা উপলক্ষ্যে ভিন রাজ্যের প্রচুর গাড়ি ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাতায়াত করবে। তাই দ্রুত ওই রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। কিন্তু এই জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ এলাকায় বর্তমানে ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে প্রচুর রোড ডিভাইডার (ট্রাফিক বিভাগের পরিভাষায় ‘স্প্রিং পোস্ট’)। গত প্রায় এক বছর আগে জাতীয় সড়কের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে এই ডিভাইডার বসানো হয়েছিল। এখন বহু জায়গায় সেই রোড ডিভাইডারের কেবলমাত্র নীচের অংশের চিহ্নটুকু দেখা যাচ্ছে। বাকি উপরের অংশ পুরো ভেঙে গিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই কারণে এখন পুরো রাস্তা ধরেই লাগামহীনভাবে যানবাহন চলাচল করছে। বিশেষত পিচ রাস্তার বাঁকের অঞ্চলগুলিতে পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। যে সব এলাকাগুলিতে ৬০ থেকে ৭০ ডিগ্রি কোণে পিচ রাস্তা বাঁক নিয়েছে, সেই সব এলাকাগুলি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এখনই ফের রোড ডিভাইডারগুলি লাগানো না হলে মেলার সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাঁদের দাবি।
এ বিষয়ে কাকদ্বীপের এক বাসিন্দা অশোক মাইতি বলেন, কাকদ্বীপের পাকার পোল থেকে বাসন্তী ময়দান পর্যন্ত এলাকাটিতে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় ৭০ ডিগ্রি কোণে বাঁক নিয়েছে। সেতুর ঢাল থাকার কারণে ওই এলাকাটি খুবই বিপজ্জনক। ওই এলাকায় যখন রোড ডিভাইডার ছিল গাড়িগুলি তখন নির্দিষ্ট লেন ধরে যাতায়াত করত। কিন্তু বর্তমান ওই এলাকায় এখন আর একটিও রোড ডিভাইডার নেই। তাই প্রায় সময়ই অসাবধানতাবশত ওই এলাকায় ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তবে শুধু ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বেশিরভাগ পিচ রাস্তারই এখন একই পরিস্থিতি।
সুন্দরবন পুলিস জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও এনিয়ে বলেন, যে জায়গাগুলিতে রোড ডিভাইডার ভেঙে গিয়েছে, খুব শীঘ্রই সেগুলিকে চিহ্নিত করা হবে। এরপরই দ্রুত ওই জায়গাগুলিতে রোড ডিভাইডার বসানো হবে।