• জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তেই জমে উঠল শীত-পোশাকের বাজার
    বর্তমান | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: জাঁকিয়ে শীত পড়ায় হাসি ফুটেছে হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের মুখে। শীতের পোশাকের বেচাকেনায় ঢেউ উঠেছে। সামনে বড়দিন। স্বভাবতই শীতবস্ত্র কিনতে মঙ্গলবার হাটে ভিড় জমিয়েছিলেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। খুচরো ব্যবসার বাজারও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। 


    নভেম্বর মাস থেকেই শীতকালীন পোশাকের সম্ভার সাজিয়ে বসেছিলেন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা। সমবায়িকা হাট, নবীন হাট, ফ্যান্সি হাট, মডার্ন হাট, পোড়াহাট— সর্বত্রই রংবেরঙের শীত পোশাক নজরে এলেও বিলম্বিত ঠান্ডার কারণে দেখা মিলছিল না ক্রেতাদের। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মালদহ ও রায়গঞ্জ বাদে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সেভাবে ভিড় জমাননি। তবে ছবিটা বদলেছে তৃতীয় সপ্তাহে। শীতের প্রভাব বাড়তেই চলতি সপ্তাহে মঙ্গলাহাটে দক্ষিণবঙ্গের পাইকারি ব্যবসায়ীদের ঢল নেমেছে। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, আসানসোল থেকে সোম ও মঙ্গলবার প্রচুর ব্যবসায়ী এসেছেন। তাঁদের অনেকেই বলেন, ‘হঠাৎ ঠান্ডাটা বেড়েছে। তাই শীতবস্ত্রের বিক্রিও হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। সেকারণেই বড়দিন ও নতুন বছরের বাজার ধরতে আরও কিছু শীতের পোশাক কিনতে এসেছি।’ হাওড়ার গ্রামীণ এলাকা থেকে আসা খুচরো ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আগে থেকে বেশি পরিমাণ উলের পোশাক তুলে রাখলে সমস্যা হয়। কারণ সেগুলি বিক্রি না হলে পরে খারাপ হয়ে যায়। তবে এখন যেভাবে দোকানে ক্রেতার ভিড় বাড়ছে, তাতে সামনের সপ্তাহেও আরও শীতবস্ত্র তুলতে হবে মনে হয়।’


    মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের কথায়, বড়দিনের আগে ছেলেদের জ্যাকেট, টুপির পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে মেয়েদের উলের গ্লাভস, মোজা, টুপি ও কার্ডিগানের। পাশাপাশি বাচ্চাদের ফুল জ্যাকেটের চাহিদাও তুঙ্গে। মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই হাওড়া থানার উল্টোদিকে ও হাওড়া পুরসভা সংলগ্ন রাস্তা বরাবর পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। বেলা বাড়তেই ভিড় বাড়ে ক্রেতাদের। এদিন মঙ্গলাহাট সংলগ্ন সব ক’টি ফুটপাত ছিল ক্রেতা-বিক্রেতাদের দখলে। দরদাম নিয়ে হাঁকডাকে তখন কান পাতা দায়। বাগনান থেকে আসা সাবিত্রী কোলে বলেন, ‘এবার মঙ্গলাহাটে শিশু ও মহিলাদের শীত পোশাকের কালেকশন খুব ভালো। দাম কম হওয়ায় শীতের পুরো কেনাকাটা সেরে নিচ্ছি।’ মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির (সেন্ট্রাল) সভাপতি মলয় দত্ত বলেন, ‘গত বছরের শীত মরশুমের তুলনায় এবার বিক্রি তুলনামূলক কম। তবে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ায় খুচরো বাজারে শীত পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বড়দিন উপলক্ষে এই সপ্তাহেই কার্যত শেষ কেনাকাটা করলেন। পরের সপ্তাহে সাধারণ ক্রেতারাই ভরসা।’ -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)